|
|
|
|
|
|
তথ্যচিত্র |
আশ্চর্য গুহা |
কুন্তক চট্টোপাধ্যায় |
জুলাইয়ের দুপুরে আচমকাই বরফের গুহায় নেমে গেলেন দর্শকেরা। সঙ্গী অণুজীববিজ্ঞানী হ্যাজন বার্টন এবং ন্যান্সি অলেনবাখ-সহ তাঁর অভিযানের সঙ্গীরা।
মিনিট কয়েক আগেই ওই দুই বিজ্ঞানীর সঙ্গে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সফর সেরে এসেছেন সবাই। এর পরে বরফের গুহা থেকে উঠে সটান ক্যারিবিয়ান সাগরের তলায়।
পৌনে এক ঘণ্টায় পৃথিবীর তিন-তিনটি জায়গার এই সফরের সৌজন্যে হ্যাজন এবং ন্যান্সির অভিযান নিয়ে বানানো তথ্যচিত্র ‘জার্নি ইনটু অ্যামেজিং কেভস’। কী নিয়ে তাঁদের অভিযান?
এক কথায় বলতে গেলে, প্রাণের খোঁজে। তবে, সেই প্রাণীদের সাধারণ চোখে দেখা যায় না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, রুক্ষ পাথর, বরফ অথবা সাগরের তলায় গুহার ওই পরিবেশে কোনও সাধারণ প্রাণীর পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব না হলেও সেখানেই কোটি কোটি বছর ধরে অস্তিত্ব টিঁকিয়ে রেখেছে বেশ কয়েক ধরনের অণুজীব। ভাবতে কষ্ট হলেও এটাই সত্যি। এবং সেই অণুজীবদের খোঁজেই দীর্ঘদিন ধরে গুহাগুলিতে অভিযান চালিয়ে আসছেন হ্যাজন বার্টন এবং ন্যান্সি অলেনবাখ নামে দুই অণুজীববিজ্ঞানী। |
|
তথ্যচিত্রে তাঁদের অভিযান শুরু হচ্ছে আমেরিকার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন থেকে। রুক্ষ, পাথুরে ২৭৭ মাইল লম্বা এবং ১৮ মাইল চওড়া এই গিরিখাতের ভিতর দিয়েই বয়ে গিয়েছে কলোরাডো নদী। শুধু তাই নয়, এই গিরিখাতে রয়েছে বিশাল বিশাল সব গুহা। রীতিমতো দড়ি বেয়ে প্রায় ৭০০ মিটার নীচে নেমে গুহার গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের তালিকায় থাকা এই ভূপ্রকৃতির সৌন্দর্যের অসাধারণ ছবিও রয়েছে এই তথ্যচিত্রে। দেখতে দেখতে মনে হবে, দুই পাহাড়ের মধ্য দিয়ে ছোট একটি বিমানে চেপে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কখনও তা গোঁত্তা খেয়ে নেমে যাচ্ছে নদীর গায়ে, পরক্ষণেই ফের পাহাড়চুড়োয়।
গ্রিনল্যান্ডের বরফের গুহার ছবিটা অন্য রকম। চার দিকে বরফ আর তার মাঝে বিরাট বিরাট খাদান। তার ভিতরে বরফের নানা কারুকার্য। বিজ্ঞানীদের দাবি, সেই বরফের গায়েও রয়েছে নানা ধরনের ব্যাক্টেরিয়া। প্রায় ৫০০ মিটার গভীরে নেমে রুদ্ধশ্বাস ভঙ্গিমায় নমুনা সংগ্রহের পদ্ধতি দেখে অবাক না হয়ে থাকা যায় না। |
|
তথ্যচিত্রের শেষ পর্যায়ে রয়েছে মেক্সিকোর ক্যারিবিয়ান সাগরের নীচের গুহায় অভিযান। এত দিন গুহা বলতে যে ধারণা মানুষের মাথায় আসত, এটি তার থেকে অনেক আলাদা। যাঁরাই এই তথ্যচিত্রটি দেখেছেন, তাঁরাই বলছেন, এটির যেমন একটি বিজ্ঞান গবেষণার দিক রয়েছে, তেমনই রয়েছে অজানা প্রকৃতির নানা রহস্যভেদের দিকও। আর ক্যামেরার কাজ ছবিটির অন্যতম বড় সম্পদ। বিপজ্জনক নানা এলাকায় যে ভাবে ছবি তোলা হয়েছে, তা না দেখলে বিশ্বাসই করা যাবে না।
কলকাতার দর্শকদের এই ছবি দেখার একমাত্র সুযোগ সায়েন্স সিটিতে। সায়েন্স সিটির অধিকর্তা অমর চৌধুরী জানিয়েছেন, ১৩ জুলাই থেকে ছ’মাসের জন্য এই তথ্যচিত্রটি দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোজ পাঁচটি করে শো। |
|
|
|
|
|