|
|
|
|
ফের টেন্ডার নিয়ে পুরসভার বিরুদ্ধে নালিশ চন্দ্রকোনায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা |
জলপ্রকল্পের পর এ বার কাঁচা নর্দমা পাকা করার কাজ। টেন্ডার ডাকা নিয়ে ফের দুর্নীতি অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত চন্দ্রকোনা পুরসভার বিরুদ্ধে।
কিছু দিন আগেই জলপ্রকল্পের কাজের টেন্ডার নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। নির্দিষ্ট দিনে এক ঠিকাদার সংস্থার লোক ফর্ম তুলতে এসেও পাননি। বিষয়টি হাইকোর্ট পযর্ন্ত গড়ায়। গোটা প্রক্রিয়াটি বাতিল হয়ে যায়। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে জলপ্রকল্পের কাজের জন্য নতুন করে টেন্ডার ফর্ম বিলির বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুরসভা। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনও কাজ শুরু হয়নি। এরই মধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে নর্দমা পাকা করার কাজ নিয়ে। প্রায় সব ওয়ার্ডের কাঁচা নর্দমা পাকা করার জন্য ‘বেসিক মিনিমাম সার্ভিস’ প্রকল্পে ৭৫ লক্ষ টাকা পেয়েছে চন্দ্রকোনা পুরসভা। ঠিকাদারদের অভিযোগ, ওই কাজের জন্য টেন্ডার ফর্ম বিলিতে অনিয়ম হয়েছে।
২ অগস্ট, বৃহস্পতিবার ছিল এই কাজের জন্য আবদেন করার শেষ দিন। নিয়মানুযায়ী এ ক্ষেত্রে পুরসভার পক্ষ থেকে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি জারি করার কথা। ঠিকাদার সংগঠনের অভিযোগ, পুর-কর্তৃপক্ষ স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়েই দায় সেরেছেন। পুরভবনের দেওয়ালে বা কোনও সরকারি জায়গায় নোটিস দেওয়া হয়নি। ওই সংবাদপত্রে টেন্ডার সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি গত ২৬ জুলাই প্রকাশিত হলেও ২ অগস্ট বৃহস্পতিবার পযর্ন্ত তা বিলি হয়নি। অথচ, বৃহস্পতিবারই ছিল টেন্ডার ফর্মের জন্য আবদেন করার শেষ দিন। অভিযোগ, বিষয়টি গোপনে জানতে পেরে পুরসভায় গিয়েও কারও দেখা মেলেনি।
ঠিকাদার সংগঠনের সদস্যরা চন্দ্রকোনা ২-এর বিডিও সৈকত হাজরাকে লিখিত ভাবে সব জানিয়েছেন। জানিয়েছেন ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারীকেও। মহকুমাশাসক পুরসভার চেয়ারম্যান রাম কামিল্যা ও ভাইস চেয়ারম্যান রণজিৎ ভাণ্ডারীকে আবদেন জমা নেওয়ার নির্দেশও দেন। কিন্তু ঠিকাদাররা পুরসভা গিয়েও কারও দেখা পায়নি বলে অভিযোগ। মহকুমাশাসক বলেন, “ওই পুরসভা নিয়ে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি জেলাশাসককে জানানো হয়েছে।” পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের যদিও দাবি, “আবেদন জমা নেওয়ার জন্য লোকজন ছিল। ঠিকাদাররা ভুল অভিযোগ করেছেন। আমরা রাখিবন্ধন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ফলে পুরসভায় থাকতে পারিনি।” তৃণমূল পরিচালিত চন্দ্রকোনা পুরসভা নিয়ে বারবার অনিয়মের অভিযোগ উঠায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “সব ঘটনা শুনেছি। আমরা দলীয় ভাবে তদন্ত করছি।”এ দিকে এলাকার মানুষের প্রশ্ন, পুরসভার কাজে কেন স্বচ্ছতা থাকবে না? কেন নিয়ম মানবেন না কর্তৃপক্ষ? চন্দ্রকোনা পুরসভায় তৃণমূলের জোটসঙ্গী গোবিন্দ দাস বলেন, “যে ভাবে বারবার অভিযোগ উঠছে, মামলা হচ্ছে তাতে পুরবোর্ডে আর থাকব কি না ভাববার সময় এসে গিয়েছে।” পুরসভার দুর্নীতি বিরুদ্ধে সরব সিপিএমও। দলের জোনাল কমিটির সম্পাদক গুরুপদ দত্ত বলেন, “শীঘ্রই আমরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করব।” |
|
|
|
|
|