টুকরো খবর
গ্যাংওয়েতে ধাক্কা লঞ্চের, বন্ধ পরিষেবা
দুর্ঘটনার পরে। শুক্রবার, শিবপুরের লঞ্চঘাটে। —নিজস্ব চিত্র
গঙ্গায় বানের ধাক্কায় জেটির গ্যাংওয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল একটি লঞ্চ। এর জেরে ওই জেটি থেকে দিনভর বন্ধ থাকল লঞ্চ চলাচল। শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ, হাওড়ার শিবপুর লঞ্চঘাটে ঘটনাটি ঘটে। হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার সময়ে লঞ্চটিতে যাত্রী না-থাকায় বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। লঞ্চের কর্মীরাও কেউ জখম হননি। তবে সরাসরি গ্যাংওয়েতে এসে ধাক্কা মারায় কাঠের লঞ্চটির উপরের অংশ ভেঙে গিয়েছে। সৌমেন রায় নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বাবুঘাট-শিবপুর রুটের ওই লঞ্চটি শিবপুর ঘাটে এসে পৌঁছলে যাত্রীদের নামিয়ে দেন চালক। এর পরে অন্য ঘাটে নিয়ে যাওয়ায় জন্য লঞ্চটি ঘোরানোর চেষ্টা করেন তিনি। তখনই গঙ্গায় বান আসে। ঢেউয়ের ধাক্কায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে লঞ্চটি ঘুরে গিয়ে গ্যাংওয়েতে ধাক্কা মেরে আটকে যায়। ভেঙে যায় সারেঙের কেবিনের উপরের অংশ। এর পরে ওই ঘাট থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হুগলি নদী জলপথ সংস্থা সূত্রের খবর, বান আসার সময়ে চালক লঞ্চ সামনের দিক দিয়ে না ঘুরিয়ে পিছনের দিকটি আগে ঘোরাতে গিয়েই দুর্ঘটনার মুখে পড়েন। সামনের অংশ আগে ঘোরালে এই অসুবিধা হত না। সংস্থার এক পদস্থ কর্তা জানান, জোয়ার থাকায় লঞ্চটি গ্যাংওয়ে থেকে বার করা যায়নি। ভাটার সময়ে সেটি বার করা হবে।

অস্বাভাবিক মৃত্যু তৃণমূল নেতার, খুনের নালিশ স্ত্রীর
রাস্তায় ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় পড়েছিলেন এক তৃণমূল নেতা। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। সিপিএম ‘চক্রান্ত করে’ ওই ব্যক্তিকে খুন করেছে বলে থানায় নালিশ জানান তাঁর স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার দুপুরে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, খানাকুলের ধরমপুর গ্রামের তৃণমূল নেতা তাপস ঘোড়ুইকে (৩৮) ওই দিন কুমারহাট গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সামনের রাস্তায় দুপুর আড়াইটে নাগাদ ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পাশে উল্টে পড়ে ছিল তাঁর মোটর বাইক। সেটিরও আলো ভাঙা ছিল। খানাকুল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাপসবাবুকে। ওই দিনই তাঁকে পাঠানো হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। রাতে মারা যান তিনি। দেহের ময়না-তদন্তে করানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তাপসবাবুর স্ত্রী ঝলকদেবী পুলিশের কাছে অভিযোগে জানান, সিপিএমের লোকজন ‘চক্রান্ত করে’ খুন করেছে স্বামীকে। ১২ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে থানা সূত্রের খবর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। ঝলকদেবী বলেন, “আমার স্বামী অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন। সিপিএম পরিচালিত খানাকুল ২ পঞ্চায়েতের নানা দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। স্থানীয় সিপিএম নেতাদের বেআইনি কাজকর্ম নিয়ে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ জানান।” তাঁর অভিযোগ, এ সব কারণেই সিপিএম নেতা সানাউল হল মল্লিকের নেতৃত্বে তাপসবাবুকে খুন করা হয়েছে। হুগলি জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দিলীপ যাদবের বক্তব্য, “ব্লক নেতৃত্ব ঘটনাটি জানিয়েছেন। পুলিশ তদন্ত করছে। তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।” খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ সভাপতি সানাউল বলেন, “২০১১ সালের ১৪ মে-র পর থেকে আমি তৃণমূলের সন্ত্রাসে ঘরছাড়া। গত ৫ জুন গ্রামে ফিরে আক্রান্ত হই। দু’দিন বাদে ফের বাড়ি ছাড়তে হয়। একটি দুর্ঘটনাতেও এখন আমাদের জড়াচ্ছে তৃণমূল। এর চেয়ে হাস্যকর আর কী হতে পারে!” সিপিএমের খানাকুল জোনাল কমিটির সম্পাদক ভজহরি ভুঁইঞার কথায়, “এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করার রুচি নেই আমাদের।”

গত বছরের লিগ শেষ হল বছর ঘুরে
বিস্তর জলঘোলার পর ২০১১ সালের শ্রীরামপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার ২০১১ সালের প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগ শেষ হল ২০১২ সালের জুলাই মাসে। চ্যাম্পিয়ন হল নবগ্রাম সেবক সঙ্ঘ। চূড়ান্ত পর্বের খেলায় তারা ১-০ গোলে হারায় ফ্রেন্ডস ইউনিয়নকে। ২০১১ সালের প্রথম ডিভিশন লিগ আরম্ভ হয়েছিল ২২টি দলকে নিয়ে। লিগের খেলা শেষে ৮টি দলকে নিয়ে নকআউট পর্যায়ের খেলা হয়। নবগ্রাম সেবক সঙ্ঘ, ফ্রেন্ডস ইউনিয়নের পাশাপাশি সেমিফাইনালে ওঠে শ্রীরামপুর স্পোর্টিং ক্লাব এবং ভদ্রকালী-কোতরং যুব সঙ্ঘ। সেমিফাইনালে শ্রীরামপুর স্পোর্টিংয়ের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল নবগ্রাম সেবক সঙ্ঘের। কিন্তু খেলাটি কোন মাঠে হবে, তা নিয়ে শ্রীরামপুর স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে বিতর্ক তৈরি হয় মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা দাবি করে, প্রথমে শ্রীরামপুর স্টেডিয়ামে খেলা হওয়ার কথা থাকলেও পরে চাঁপদানির ইন্দিরা ময়দানে খেলাটি ফেলা হয়। সেই চিঠিও দুই ক্লাবকে পাঠানো হয়। নবগ্রামের দলটি ওই মাঠে গেলেও শ্রীরামপুর স্পোর্টিং যায়নি। তারা দাবি জানায়, চাঁপদানির মাঠে খেলার চিঠি তারা পায়নি। তারা শ্রীরামপুর স্টেডিয়ামে হাজির হয়। কোন পক্ষের দাবি সত্য, তা নিয়ে কোনও স্থির সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। শ্রীরামপুর স্পোর্টিং ‘রিপ্লে’র দাবি তোলে। নবগ্রাম সেবক সঙ্ঘ অবশ্য তাতে সম্মত হয়নি। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে নজিরবিহীন ভাবে দু’টির বদলে তিনটি দলকে সুপার ডিভিশনে তুলে দেওয়া হয়। সেমিফাইনালে জিতে ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন সুপার ডিভিশনে ওঠে। আর, সেমিফাইনাল না খেলেই নবগ্রাম সেবক সঙ্ঘ এবং শ্রীরামপুর স্পোর্টিংকে সুপার ডিভিশনে উঠে যায়। ক্রীড়া সংস্থা সূত্রের খবর, প্রতিযোগিতা শেষ করার লক্ষ্যে শ্রীরামপুর স্পোর্টিংকে ‘বুঝিয়ে’ ফাইনাল থেকে বিরত করে ক্রীড়া সংস্থার কর্তারা। গত ১৫ জুলাই নবগ্রাম সেবক সঙ্ঘ এবং ফ্রেন্ডস ইউনিয়নের মধ্যে ফাইনাল হয়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে খেলাটি হয় শ্রীরামপুর স্পোর্টিংয়ের মাঠেই। এ দিকে, চলতি বছরের প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগ গত ১৫ জুলাই থেকে আরম্ভ হয়েছে। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ২৯টি দলকে ৪টি গ্রুপে ভাগ করে লিগ পর্যায়ের খেলা হবে। সুপার ডিভিশনের খেলা আরম্ভ হবে অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে। খেলবে ১৭টি দল।

পুণ্যার্থীর মৃত্যু হরিপালে
তারকেশ্বরে শিবের মাথায় জল ঢালতে যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক পুণ্যর্থীর। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ভোরে হরিপালের বেলেচোরায় বৈদ্যবাটি-তারকেশ্বর রোডে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম প্রদীপ কাঞ্জি (৩২)। তাঁর বাড়ি রাজারহাট হায়াতনগরে। ভোর ৪টে নাগাদ একটি ট্রাক পিছন দিক থেকে তাঁকে ধাক্কা মেরে পালায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

পুকুরে ডুবে মৃত বালিকা
পুকুরে ডুবে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মেয়েটির নাম রিয়া পাল (৮)। সে স্থানীয় লালবাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ত। এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ মেয়েটি একটি জামা নিয়ে বাড়ির কাছেই পুকুরে ধুতে যায়। আচমকাই সিঁড়িতে পা পিছলে সে পুকুরে পড়ে তলিয়ে যায়। স্থানীয় মানুষজন তাকে উদ্ধার করে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু
ছোট ট্রাকের ধাক্কায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ব্যান্ডেলের ক্যাওটা বটতলায় জিটি রোডে। পুলিশ জানায়, মৃত নাম অজয় হালদারের (৬০) বাড়ি ৩ নম্বর কেওটা মিলিটারি কলোনিতে। সকাল ৯টা নাগাদ জিটি রোডের ধার দিয়ে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। মগরাগামী ছোট ট্রাক অজয়বাবুকে ধাক্কা মারে। চালককে ধরেছে পুলিশ।

চোলাই রুখতে অভিযান
শুক্রবার সকালে পুড়শুড়ার ফুলপুকুর গ্রামে চোলাইয়ের বিরুদ্ধে যৌথ ভাবে অভিযান চালাল পুলিশ ও আবগারি দফতর। পুলিশ জানায়, প্রায় সাড়ে ৭ হাজার লিটার চোলাই নষ্ট করা হয়েছে। মদ তৈরির সাতটি হাঁড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে গ্রেফতার করা যায়নি কাউকে। আরামবাগে এমন অভিযান নিয়মিত চলবে বলে জানান আবগারি কর্তারা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.