ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির জন্য তিনটি টোটকা দিলেন রুড খুলিট। উন্নত পরিকাঠামো। অত্যাধুনিক ট্রেনিংয়ের সুবিধা। অনেক বেশি সংখ্যক মাঠ।
রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে ডাচ তারকার পাশে বসেছিলেন ব্যারেটো। তিনি বলছিলেন, “খুলিটের পাশে বসা আমার কাছে স্বপ্ন।” স্বপ্ন মনে হল সুকান্তনগরের দুই ফুটবলার জয়ন্ত মণ্ডল এবং বিশ্বজিৎ রায়ের কাছেও। কসবা গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে পাড়া ফুটবলের ফাইনাল দেখতে গিয়ে যাঁদের সেরা বেছে দিলেন খুলিট নিজে। তাঁরা এই মরসুমে প্রয়াগ ইউনাইটেডে অনুশীলনের সুযোগ পাবেন। সাংবাদিক সম্মেলনের শেষে ইউনাইটেডের জার্সিও প্রকাশ করেন খুলিট। সাংবাদিকদের সামনে খুলিট নানা প্রসঙ্গে স্বচ্ছন্দ। জর্জ বেস্ট থেকে মারাদোনা। আবার বললেন, “বেস্ট আমাকে সেরা বললেও আমার সেরা মারাদোনা।”
ডাচ ফুটবল: আমাদের দেশে অপেশাদার ক্লাবে ফুটবল শিখতে আসে বাচ্চারা। সেখানেও থাকে তিন-চারটে মাঠ। তাদের স্নান করার ব্যবস্থা। শনি-রবিবার তাদের বাবা-মায়েরাও ভিড় জমায়। খাবারের দোকানও থাকে। যাতে বাচ্চারা এবং তাদের পরিবার ফুটবলটা উপভোগ করতে শেখে। সেই ছোট থেকেই ওখানে সবাই ৪-৩-৩ ছকে খেলতে অভ্যস্ত হয়। যেখানে উইঙ্গারদের ভূমিকা বিশাল।
এ সি মিলান: আমাদের মানসিকতাই হচ্ছে, কেউ কিছু করলই পাল্টা জিজ্ঞাসা করা, কেন? বা করে কী লাভ জানতে চাওয়া? এসি মিলানে খেলার সময় কোচ সাক্কিকে এক বার অনুশীলনের সময়েই জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কেন করব? কোচ বলেছিলেন, এই সব প্রশ্ন প্র্যাক্টিসের পরে করতে।
বাস্তেন ও রাইকার্ড: আমি গর্বিত আমার পাশে ওই রকম দু’জন ফুটবলারকে পেয়েছিলাম। কী দেশে, কী ক্লাবে! নেদারল্যান্ডসের হয়ে খেলার সময় আমরা ডাচ মানসিকতায় খেলাটা উপভোগ করতাম। আর মিলানের হয়ে খেলার সময় ইতালীয় মানসিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মনে করতাম কখনওই হারা চলবে না।
ক্লাবগুলোর অতিরিক্ত খরচ: হার্লেম বলে যে ক্লাবে প্রথম খেলতে শুরু করেছিলাম, সেই ক্লাবটাই উঠে গিয়েছে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাধ্য হয়েই অনেক ক্লাব বেশি খরচ করে ফেলছে। আর প্রচুর দেনাও করে ফেলছে। এ জন্যই অনেক ক্লাব হারিয়ে যাচ্ছে।
বর্ণবৈষম্য: যারা এই কাজটা করে, তারা মোটেই বুদ্ধিমান নয়। এটা একটা সামাজিক সমস্যা। সংখ্যালঘুদের প্রতি এটা খুব খারাপ মনোভাব। |