রাষ্ট্রদ্রোহ ও অস্ত্র আইনের একটি মামলায় আদালতের রায়ে বেকসুর খালাস হয়ে গেলেন মাওবাদী নেতা চণ্ডী সরকার ও সোমেন সহ মোট ১৩ জন। তবে তাঁদের মধ্যে চণ্ডীবাবু ও সোমেন সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অন্য মামলা চলছে বলে তাঁরা শুক্রবার জেল থেকে ছাড়া পাননি। বাকি দু’জন এই দিন ছাড়া পেয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। তেহট্ট ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় এই দিন রায় ঘোষণা করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী জুলফিকার আলি খান জানান, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ফাজিলনগরের বাসিন্দা সাজিদুল হক শাহ ওরফে মিঠু ওরফে সাইনকে রাষ্ট্রদ্রোহ ও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করে থানারপাড়া থানার পুলিশ। সাজিদুল জবানবন্দিতে জানিয়েছিলেন যে, তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকটি ঘটনায় জড়িত ছিলেন চণ্ডীবাবু ও সোমেন সহ আরও বারো জন। তাঁদের মধ্যে তিন জনকে পুলিশ পরে গ্রেফতার করে। জুলফিকার আলি খান বলেন, “চণ্ডীবাবু অবশ্য ওই ঘটনার অনেক আগে থেকেই অন্য মামলায় অভিযুক্ত হয়ে জেল হেফাজতেই ছিলেন। জেল হেফাজতেই ছিলেন আরও ৮ জনও।” সোমেনকে পরে ২০০৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের কাছে হৃদয়পুর থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সোমেনের বিরুদ্ধেও আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী চঞ্চল ঘোষ বলেন, “এই মামলায় বেকসুর খালাস হয়ে দু’জন মাত্র ছাড়া পেয়েছেন। বাকিরা বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত। তাই তাঁরা এখনও জেল হেফাজতেই রয়েছেন।” অভিযুক্ত পক্ষের আর এক আইনজীবী রেজাউল করিম মণ্ডল বলেন, “সাজিদুল নিজেও অন্য মামলায় বিচারাধীন। তাই তিনিও এই মামলায় খালাস হলেও জেল থেকে ছাড়া পাননি।” আইনজীবী চঞ্চলবাবুর দাবি, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছিল পুলিশ। সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে তা আদালতে দাঁড় করাতে পারেনি।” |