টানা দু’দিন পতনের রেশ কাটিয়ে কিছুটা গা ঝাড়া দিয়ে উঠল শেয়ার বাজার। প্রায় ‘ডবল সেঞ্চুরি’ হাঁকিয়ে সপ্তাহ শেষ করল সূচক। শুক্রবার ১৯৯.৩৭ পয়েন্ট উত্থানের দৌলতে সেনসেক্স পৌঁছল ১৬,৮৩৯.১৯ অঙ্কে। বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ দিন বেড়েছে টাকার দামও। দিনের শেষে ১৯ পয়সা উঠেছে টাকা। ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৫৫.৩৩/৩৪ টাকা।
দেশে সূচক এবং টাকা যেমন বেড়েছে, তেমনই আন্তর্জাতিক বাজারে শুক্রবার ঊর্ধ্বমুখী ছিল সোনার দাম। লন্ডনে প্রতি আউন্স সোনা ০.৬% বেড়ে দাঁড়ায় ১,৬২৪.৭৩ ডলার। গত ৩ জুলাইয়ের পর যা সর্বোচ্চ।
ভারতে বাজার ওঠার প্রধান কৃতিত্ব গিয়েছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এবং এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ঝুলিতে। মূলত এদের ভাল ফলাফলই বাজারে প্রাণ সঞ্চার করেছে, জানান বিশেষজ্ঞেরা। এই উত্থানে ইন্ধন জুগিয়েছে ইউরোপে সঙ্কট মেটা নিয়ে নতুন করে তৈরি হওয়া আশা। যদিও দীর্ঘ মেয়াদে ছন্দে ফিরতে বাজার এখনও তাকিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আসন্ন ঋণনীতির দিকে। বেসরকারি ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র সূচককে অক্সিজেন জোগানোর দিনে অবশ্য অধিকাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শেয়ার দর ছিল নিম্নমুখী। অর্থবর্ষের প্রথম ৩ মাসে অনুৎপাদক সম্পদ বৃদ্ধিই যার কারণ।
ইউরোপীয় দেশগুলির সঙ্কট মেটাতে আরও জোরদার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সেখানকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। ফলে ভারতের বাজারে যেমন আস্থার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে, তেমনই তার প্রভাব পড়েছে টাকা ও সোনার দামে। কারণ মার্কিন অর্থনীতিতে বৃদ্ধির গতি ঢিমে হওয়ার পাশাপাশি ইউরোপের ঘুরে দাঁড়ানোর এই সম্ভাবনায় ডলারের সাপেক্ষে দাম বেড়েছে ইউরোর। ডলারের দাম পড়ায় উঠেছে টাকা। আবার ডলার নিয়ে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তাই লগ্নি টেনে এনেছে তুলনায় নির্ভরযোগ্য সোনায়। যে কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে এই ধাতুর। |