এক মহিলাকে রাস্তার মাঝে যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখেছিলেন। হাসপাতাল বলতে কয়েক কিলোমিটার দূরের একটা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। মাঠে কাজ করতে করতে দেখেছিলেন এক কৃষক। সেই বছর আঠারো আগেই ঠিক করে নিয়েছিলেন, নিজের জমিতে কোনও না কোনও দিন গ্রামে একটা হাসপাতাল তৈরি করবেন। রানাঘাটের বাসিন্দা চঞ্চল সাহা কথা রেখেছেন। ২০০৬ সালে নিজের খেতের জমি থেকে ১০ কাঠা জমি নোকারি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে দান করেছিলেন তিনি। সেই জমিতেই তৈরি হয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ভবন। এর আগে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাজ চলত নোকারি পঞ্চায়েত ভবনেই। আজ, বৃহস্পতিবার সেই ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন করলেন জেলাশাসক অভিনব চন্দ। উপস্থিত ছিলেন চঞ্চলবাবু নিজেও। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে আমি অভিভূত। আমি ভাবতে পারছি না আমার দেওয়া জমিতে শেষ পর্যন্ত এই ভবন তৈরি হল। আমার স্বপ্ন আজ সত্যি হল। গ্রামের মানুষ এখানে পরিষেবা পাবে।”
চঞ্চলবাবুর সম্বল বলতে ছিল বিঘে তিনেক জমি। নিজেই চাষাবাদ করে সংসার চালান। সেই জমি থেকেই ১০ কাঠা বছর ছ’য়েক আগে দিয়ে দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়নে। এ দিনের অনুষ্ঠানে জেলাশাসক বলেন, “এই ভবন নির্মাণে ১২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।” নোকারি পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের সুর্বত শর্মা বলেন, “চঞ্চলবাবুকে আমরা আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই। ওঁর সাহায্যেই এই প্রয়াস সফল হল।” রানাঘাট-২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রোহন হালদার বলেন, “এত দিন নোকারি গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসেই এই উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চলছিল। এ বার চঞ্চলবাবুর দেওয়া জমিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিজের ভবন তৈরি হল। আমরা ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ।” |