ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে সাঁইথিয়ার কুনুরি গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ডায়েরিয়ায় ইতিমধ্যে দু’জনের মৃত্যুও হয়েছে। পাশাপাশি গত দিন দশেক থেকে ওই গ্রামে ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিলেও স্বাস্থ্য দফতর থেকে তেমন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। যদিও সাঁইথিয়ার বিএমওএইচ সুজয় পাল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “ওআরএসের জোগান না থাকলেও ডায়েরিয়া দেখা দেওয়ার পর থেকে ওই গ্রামে নিয়মিত মেডিক্যাল টিম যাচ্ছে।”
বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তিনজন সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি। পঞ্চায়েত সদস্য, কংগ্রেসের অশোক সাহা-র অভিযোগ, “গ্রামে একটি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও, কার্যত তা না থাকারই সমান। সেখানকার চিকিৎসক-কর্মীরা খেয়ালখুশি মতো ডিউটি করতে আসেন। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডায়েরিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ওআরএস পর্যন্ত মেলে না।” অন্য দিকে, তৃণমূল নেতা আব্দুল সালামের দাবি, “দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অনেকেই আক্রান্ত। অথচ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” দু’জনেরই দাবি, কয়েক দিন আগে কুনুরি-র দুই বাসিন্দা রখু দাস (৩২) ও মানু বাগদি-র (৬০) ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। প্রথমজন সিউড়িতে ভর্তি হওয়ার পর একটু সুস্থ হলে বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে গত বৃহস্পতিবারই তাঁর মৃত্যু হয়। দ্বিতীয়জন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সিউড়ি সদরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত রবিবারই এলাকায় ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয়েছে বলে কুনুরির ওই উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী নিরুপা খাতুনের দাবি। ওই কেন্দ্রের ইনচার্জ প্রীতিকণা রুজ চিকিৎসক-কর্মীদের অনিয়মিত আসার অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, “একটি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য যে সব ওষুধপত্র থাকার কথা, এখানে তা নেই।” দু’জনের মৃত্যুর দাবি প্রসঙ্গে সুজয়বাবুর বক্তব্য, “রখু দাস সুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, জানা নেই। অন্য দিকে, মানুদেবীর রিপোর্টে বলা হয়েছে তাঁর মৃত্যু হয়েছে কিডনিজনিত কারণে।” |