অর্থ বরাদ্দ হলেও পরিকল্পনা-মতো কাজ না-হওয়ায় জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ সমিতির বার্ষিক সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি। বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিকল্পনা ভবনের সভাগৃহে এই সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা-পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য, জেলার মুখ্য-স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র, শাসকদলের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, কেশপুরের সিপিএম বিধায়ক রামেশ্বর দোলুই প্রমুখ। মৃগেনবাবুর অনুযোগ নিয়ে অবশ্য সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। তিনি বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধানের চেষ্টা চলছে।”
সভার শুরুতেই গত এক বছরের কাজের পর্যালোচনা করা হয়। বক্তব্য রাখতে গিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেদিনীপুরের বিধায়ক। তিনি বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ হলেও সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হচ্ছে না।” চাঁদড়ার দেপাড়া ও পিরাকাটা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সীমানা-প্রাচীর তৈরির জন্য নিজের বিধায়ক তহবিল থেকে ৫ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করেছিলেন মৃগেনবাবু। অথচ সে-কাজ এখনও শুরুই হয়নি বলে অনুযোগ তাঁর। জেলা-প্রশাসন সূত্রের অবশ্য বক্তব্য, যেখানে সীমানা-প্রাচীর তৈরি হবে, সেই জমি স্বাস্থ্য-দফতরের হাতে নেই। তাই কাজ এগোতে সমস্যা হচ্ছে। গ্রামীণ হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো-উন্নয়ন নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। ন্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশনের বরাদ্দে গ্রামীণ স্বাস্থ্য-পরিকাঠামোর উন্নয়নে কাজ হওয়ার কথা। এ ক্ষেত্রেও কাজের গতি সন্তোষজনক নয় বলেই অভিযোগ। সব মিলিয়ে বরাদ্দের প্রায় অর্ধেক অর্থই খরচ হয়নি। কাজ না-হওয়ায় একটি প্রকল্পের ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪১২ টাকা ফেরতও চলে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সব-স্তরে নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে বলে মতপ্রকাশ করেন স্বাস্থ্য-সমিতির একাংশ সদস্য। এ দিনের সভা থেকে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। এর মধ্যে প্রতিটি মহকুমা হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিট চালু করার প্রস্তাবও রয়েছে। এই সব প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে। |