• নর্মান প্রিচার্ড-এর জন্ম কলকাতায়। ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আই ও সি)-র নথিপত্র অনুসারে তিনিই অলিম্পিক পদক বিজয়ী প্রথম ভারতীয়। ১৯০০ সালের অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় তিনি ২০০ মিটার দৌড়ে এবং ২০০ মিটার হার্ডলস-এ রৌপ্য পদক পেয়েছিলেন। তবে তাঁকে কোন দেশের প্রতিযোগী বলে গণ্য করা হবে ভারত না গ্রেট ব্রিটেন সেই নিয়ে একটা তর্ক থেকে গেছে। মজার কথা হল, প্রিচার্ড কেবল অ্যাথলিট ছিলেন না, ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবেও সে আমলে তাঁর বেশ নামডাক ছিল। পরে তিনি আমেরিকায় চলে যান, সিনেমায় এবং ব্রডওয়ে’র থিয়েটারেও অভিনয় করেন।
• ১৯১৯ সালে স্যর দোরাবজি টাটা প্রথম একটি জাতীয় ক্রীড়া পর্ষদ তৈরির উদ্যোগ করেন। ১৯২০-র অ্যান্টওয়ার্প অলিম্পিকের জন্য তিনিই প্রথম ভারতের যথার্থ প্রতিযোগী দল গড়ে পাঠালেন। দলে ছিলেন চার জন অ্যাথলিট ও দু’জন কুস্তিগির। কেউ পদক পাননি।
• দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর অলিম্পিক নতুন করে শুরু হয় ১৯৪৮ সালে। স্বাধীন ভারত হকিতে নিজের প্রাধান্য বজায় রাখে। সে বছর ফুটবল এবং ওয়াটারপোলোতেও ভারত যোগ দিয়েছিল।
• ১৯৫২ অলিম্পিকে ভারত আরও অনেকটা বড় দল পাঠায়। বক্সিং, সাইক্লিং এবং কুস্তিতেও যোগ দেন ভারতীয় প্রতিযোগীরা। ফুটবলে ভারতীয় দল বিপর্যস্ত হয়, একটা ম্যাচে তারা ১০-১ গোলে হেরেছিল। ভারত দুটি পদক পায়। হকিতে সোনা, আর খশবা যাদব কুস্তিতে ব্রোঞ্জ পান।
• অলিম্পিকের ইতিহাসে ভারতীয় ফুটবল দলের সবচেয়ে ভাল ফল হয়েছিল ১৯৫৬ সালে, মেলবোর্নে। সে বার ভারত ফুটবলে চতুর্থ স্থান পায়। হকি দল একটানা ছ’বছর সোনা জেতে।
•১৯৬০ অলিম্পিকে ভারত হকির সোনা হারায় পাকিস্তানের কাছে। তার পর আর মাত্র দু’বার ভারতীয় হকি দল অলিম্পিকে সোনা জিতেছে ১৯৬৪ এবং ১৯৮০। হকির দুনিয়ায় ক্রমশ অন্য নানা দেশ এগিয়ে এসেছে, ভারত পিছিয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে কৃত্রিম মাঠে খেলা চালু হওয়ার পর ভারত তার দাপট হারিয়ে ফেলে।
• ব্যক্তিগত খেলায় ভারতীয় প্রতিযোগীরা পাদপ্রদীপের সামনে আসতে শুরু করেন ১৯৬০ অলিম্পিক থেকে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মিলখা সিংহ ব্রোঞ্জ পদক হারান। ২৪ বছর পরে একই ভাবে ৪০০ মিটার হার্ডলস-এ ব্রোঞ্জ হাতছাড়া হয় পি টি উষা-র। দৌড়ের বেশির ভাগ সময় এগিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তে এক চুলের জন্য পিছিয়ে পড়েন তিনি।
•
অলিম্পিক টেনিসে প্রথম ভারতীয় হিসেবে পদক জেতেন লিয়েন্ডার পেজ। সালটা ১৯৯৬। সেমিফাইনালে আন্দ্রে আগাসির কাছে কিন্তু হেরে গিয়েছিলেন লিয়েন্ডার। তবে শেষ পর্যন্ত ব্রোঞ্জ দখলের ম্যাচে ব্রাজিলের ফার্নেন্দো মেলিজেনিকে হারিয়ে পদক জিতে নেন। অলিম্পিকে এটাই ভারতের প্রথম পদক, ষোলো বছরের ইতিহাসে! বার্সেলোনা অলিম্পিকেই (১৯৯২ সাল) অবশ্য লিয়েন্ডার, রমেশ কৃষ্ণণের সঙ্গে জুটি বেঁধে পুরুষদের ডাবল্স-এ কোয়ার্টার ফাইনাল অবধি পৌঁছতে পেরেছিলেন। তবে পদক আসেনি।
• ২০০০ সাল। প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে অলিম্পিক পদক এনে দিলেন কর্ণম মালেশ্বরী। ৬৯ কেজি ভারোত্তোলন বিভাগে সব মিলিয়ে ২৪০ কেজি ওজন তুলে তিনি ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করেন। ভারতীয় মেয়েদের খেলাধূলার জগতে নিঃসন্দেহে তৈরি হয় এক নতুন ইতিহাস।
• ২০০৪ সালের আথেন্স অলিম্পিক। স্বাধীনতার পর ভারতের প্রথম রুপো জয়, রাজ্যবর্ধন রাঠৌরের হাত ধরে। ডাব্ল ট্র্যাপ শ্যুটিংয়ে এল এই পদক। ভারোত্তোলনে ফ্লাইওয়েট বিভাগে কুঞ্জরানি দেবী পেলেন চতুর্থ স্থান।
• ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিকই ভারতের পক্ষে সফলতম অলিম্পিক। একটি সোনা ও দুটি ব্রোঞ্জ-সহ তিনটি পদক এসেছে তার ঝুলিতে। প্রথম ভারতীয় হিসেবে ভারতের হয়ে অভিনব বিন্দ্রার ব্যক্তিগত সোনা জয় এই বছরেই। একই সঙ্গে, কুস্তিতে সুশীল কুমার এবং বক্সিংয়ে বিজেন্দ্র সিংহ ব্রোঞ্জ পদক জিতে নেন। এই প্রথম কোনও একটি অলিম্পিকে তিনটি পদক জিতল ভারত। |
১ ১৯৪৮ সালে অলিম্পিক গেমস্-এর অঙ্গ ছিল শিল্পকলা প্রতিযোগিতা। এতে কোন ভারতীয় ভাস্কর্য বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন?
২ কোন ভারতীয় অলিম্পিক পদকজয়ী তাঁর বাড়ির নাম রেখেছিলেন ‘অলিম্পিকা নিবাস’?
৩ রোমানিয়ার একজন অ্যাথলিট, ক্রিশ্চিয়ানা কোজোকারু এক বার অলিম্পিকে ভারতের পদকজয়ের স্বপ্ন চুরমার করে দেন। কী ভাবে?
৪ অলিম্পিকের ইতিহাসে জেরেমি বুজাকোয়োস্কি ভারতের পক্ষে কোন দিক থেকে প্রথম ছিলেন?
৫ ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকের জন্য বিকাশ গৌড়া মনোনীত হয়েছেন। এই নিয়ে পর পর তিন বার তিনি অলিম্পিকের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন। কোন বিভাগের প্রতিনিধি তিনি? |
১) চিন্তামণি কর, ২) কে ডি যাদব, ৩) ১৯৮৪ সালে তিনি পিটি উষাকে ৪০০ মিটার হার্ডল্স ফাইনালে
পরাজিত করেন, ৪) উইন্টার অলিম্পিক গেমস্-এ প্রথম ভারতীয় হিসেবে তিনি অংশ নেন, ৫) ডিসকাস থ্রো |