দেশের বাইরে ইংরেজি সাহিত্য চর্চা
বিদেশে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের একটি পছন্দের বিষয় হল ইংরেজি। সাধারণত আগে ইংরেজি-পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ব্রিটেনেই যেত। এখন সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও কয়েকটি দেশ। যেমন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নরওয়ে, সুইডেন। এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে রোডস্, ফেলিক্স, গেটস, ইনল্যাক্স-এর মতো কয়েকটি নামকরা বৃত্তিওরও সুযোগ রয়েছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের স্কলারশিপ-ও দেয়। তবে, বর্তমানে বিশ্বজোড়া অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এই ধরনের আর্থিক সাহায্য অনেকটাই কমে গিয়েছে। বিদেশে এম এ সাধারণত এক বা দু’বছরের আর পিএইচ ডি (ইংল্যান্ডে যাকে ডি ফিল বলে) তিন বা চার বছরের।
ব্রিটেনে মাস্টার্স বা ডি ফিল করার ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক রেফারেন্স, গুরুত্বপূর্ণ ট্র্যান্সক্রিপ্ট, সি.ভি., একটি চার হাজার শব্দের লেখা, রিসার্চ প্রোপোজাল (ডি ফিল-এর ক্ষেত্রে) বা স্টেটমেন্ট অব পারপাস (স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে)।
যে হেতু প্রার্থী ইংরেজি নিয়েই পড়েছে সেই কারণে তাকে আই ই এল টি এস-এর মতো আন্তর্জাতিক পরীক্ষা না-ও দিতে হতে পারে। অন্য দিকে, মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ইংরেজিতে উচ্চশিক্ষা করার ক্ষেত্রে ক্রিটিক্যাল রাইটিং-এর কোনও লেখার নমুনা, পরীক্ষার ফলাফল, রেকমেন্ডশন লেটার ও স্টেটমেন্ট অব পারপাস লাগে।এখানে কিন্তু জি আর ই এবং টোয়েফল-এর স্কোর জরুরি। ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি প্রার্থীর রিসার্চ প্রোপোজাল-এর ওপর প্রাধান্য দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কিন্তু গুরুত্ব পায় প্রার্থীর স্টেটমেন্ট অব পারপাস। এ ছাড়াও আবেদনের সময়ে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল রেকমেন্ডেশন লেটার। এগুলি এমনিতে প্রার্থীর কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারমশাইরাই লিখে দেন। এর জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে পর্যাপ্ত সময়ের পাশাপাশি চিঠি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আগে থেকেই সরবরাহ করে রাখা চাই।
• ব্রিটেনের ক্ষেত্রে, ইংরেজি নিয়েই পড়ছে বলে প্রার্থীকে অনেক সময় আই ই এল টি এস দিতে না-ও হতে পারে।
• মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করতে চাইলে আগে দু’বছর কোর্সওয়ার্ক করতে হয়।
যারা স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করার পর বিদেশে এম এ পড়তে চলে যায় তাদের মাথায় রাখতে হবে যে বিদেশের এম এ ডিগ্রি কিন্তু আমাদের ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন (ইউ জি সি) দ্বারা স্বীকৃত নয়। অনেক ছাত্রছাত্রীই বিষয়টি সে ভাবে জানে না। ফলে অনেক সময়েই বিদেশ থেকে এম এ করার পর দেশে ফিরে উচ্চশিক্ষা বা শিক্ষকতা করতে গিয়ে নানা অসুবিধের সম্মুখীন হয়। তাই গ্র্যাজুয়েশনের পর এখান থেকে মাস্টার্স করেই তবেই বিদেশে উচ্চশিক্ষা করতে যাওয়া উচিত।
পিএইচ ডি করার ক্ষেত্রে মোটামুটি বেশ কিছু বিষয়ের সম্বন্ধে জেনে রাখতে হবে
১) আর কেউ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে কিনা।
২) যে বিষয়টা নিয়ে গবেষণা করতে চাইছ সেটার যথেষ্ট উপাদান বা তথ্য আছে কিনা।
৩) এই সব তথ্য বা উপাদান যেখানে রয়েছে সেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা পাঠাগার থেকে ছাত্রটি তার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি সংগ্রহ করতে পারবে কিনা।
গবেষণা করার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন-এর মধ্যে বড় পার্থক্য আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করতে চাইলে ছাত্রটিকে আগে বেশ কিছু দিন (আনুমানিক দু’বছর) কোর্সওয়ার্ক করতে হয়। কোর্সওয়ার্ক শেষে তাকে একটা পরীক্ষা দিতে হবে। তার পর সে গবেষণার সুযোগ পাবে। ব্রিটেনে কিন্তু এই কোর্সওয়ার্ক-এর ব্যাপার নেই। প্রথম থেকেই সেখানে গবেষণা শুরু করা যায়। এখন ইংরেজিও অনেকখানি ইন্টারডিসিপ্লিনারি বিষয়ে হয়ে গিয়েছে। ফলে প্রথাগত পোস্ট কলোনিয়াল পিরিয়ড, ইয়োরোপিয়ান রেনেসাঁস-এর মতো বিষয়গুলি ছাড়াও বলিউড, হিস্ট্রি অব বুকস্, প্রিন্ট কালচার, সোশাল অ্যানথ্রপলজি নিয়েও কাজকর্ম হচ্ছে। এমন হতেই পারে যে ছাত্রটি স্টেটমেন্ট অব পারপাস-এ হয়তো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে গবেষণা করবে বলে লিখল। কিন্তু কোর্সওয়ার্ক করার সময় তার অন্য কোনও বিষয় ভাল লেগে গেল। তখন সে সেই অন্য বিষয়টি নিয়ে তার গবেষণা করতে পারে। তাতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে খুব একটা অসুবিধে হয় না।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.