অনুষ্ঠান বাড়িতে যোগ দিতে যাওয়ার সময়ে গাড়ির সঙ্গে একটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল তিন জনের। শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরে জাতীয় সড়কের গাঁধীমোড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম দুলালচাঁদ চৌধুরী (২৭), দারা চৌধুরী (২৫) ও কৃষ্ণা চৌধুরী (২৯)। বাড়ি ওয়ারিয়ার মানা এলাকায়। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও তিন জন। প্রথমে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল ও পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ১২ টা নাগাদ মানা থেকে একটি গাড়িতে চড়ে পানাগড়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন এলাকার জনা দশেক বাসিন্দা। গাঁধী মোড়ে জাতীয় সড়কে পড়তেই অত্যন্ত দ্রুতগতিতে আসা একটি লরি তাঁদের গাড়িটিকে ধাক্কা মারে। গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিন জন। বাকি সাত জনের প্রত্যেকেই কমবেশি জখম হন। গভীর রাতে সেই সময় আশপাশে তেমন কোনও লোকজন না থাকায়, গাড়ির ভিতর মৃতদেহ সমেত জখম যাত্রীরা বেশ কিছুক্ষণ পড়ে থাকেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ আসে। ততক্ষণে স্থানীয় বাসিন্দারাও আসতে শুরু করেন। জখমদের উদ্ধার করে প্রথমে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়। পরে তাঁদের মধ্যে গুরুতর জখম তিন জনকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
জাতীয় সড়কে যে ক’টি মোড় অত্যন্ত বিপজ্জনক, তার মধ্যে অন্যতম গাঁধী মোড়। এর আগেও ওই মোড়ে বহু দুর্ঘটনায় অনেকেই মারা গিয়েছেন। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় আলাদা ট্রাফিক পরিকাঠামো চালু হওয়ার পর ওই মোড়ে সর্বক্ষণের একাধিক পুলিশ কর্মী থাকেন। তাতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও রাতের দিকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ উঠে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেই সময়ে বৈদ্যুতিন সিগন্যাল ব্যবস্থাই ভরসা। কিন্তু মাঝে মাঝেই যান্ত্রিক গোলযোগে তা বিকল হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও তাই বেড়ে যায়। এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন। |