একই দিনে তিনটি লুঠপাটের ঘটনা ঘটল আসানসোল মহকুমায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশের দাবি, খুব শীঘ্রই দুষ্কৃতীদের ধরা যাবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কুলটি থানার বেজডি কোলিয়ারি সংলগ্ন একটি খনি আবাসনে ঢুকে একদল দুষ্কৃতী ব্যাপক লুঠপাঠ চালায় বলে অভিযোগ। ওই আবাসনের বাসিন্দা, ইসিএলের কুনুস্তরিয়া কোলিয়ারির খনিকর্মী রবীন চট্টরাজ পুলিশকে জানিয়েছেন, রবিবার ভোর রাতে তাঁর বাড়িতে লুঠপাট চালায় দশ বারো জনের একটি দুষ্কৃতী দল। এদের প্রত্যেকের হাতে রিভলবার, ভোজালি ও কাটারির মতো অস্ত্র ছিল। খোলা জানলা দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকিয়ে পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে দরজা খুলতে তাঁদের বাধ্য করে তারা। দরজা খুলতেই জনা আটেক দুষ্কৃতী ভিতরে ঢুকে লুঠপাট শুরু করে। বাইরে বাকি কয়েক জনকে পাহারায় রেখে দেয় তারা। জিনিসপত্র লুঠের সময়ে পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। বেশ কিছুক্ষণ লুঠপাঠ চালানোর পরে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। নগদ টাকা ও গয়না চুরি হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। |
এ দিনই ভোর রাতে বেজডি কোলিয়ারি সংলগ্ন একটি বাড়িতে সিঁদ কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। গৃহকর্তা, পেশায় শিক্ষক অশোক জাগাতি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, বাড়ির পিছন দিকে মাটির দেওয়ালে সিঁদ কাটা হয়েছে। রবিবার সকালে ঘরের জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড দেখে তাঁরা বুঝতে পারেন চুরি হয়েছে। তাঁর দাবি, নগদ টাকা-সহ সোনার গয়না ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়েছে। রবিবার সকালে এ দু’টি ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে যায় নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। তাদের দাবি, কিছু সূত্র মিলেছে।
এ দিকে, শনিবার বিকেলে হিরাপুর থানার হিলভিউ এলাকায় একটি চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। স্থানীয় বাসিন্দা গীতা ঘাঁটি পুলিশকে জানিয়েছেন, এ দিন ওই সময়ে তাঁর বাড়িতে কেউ ছিলেন না। তিনি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আসানসোল শাখার কর্মী। তাঁর অভিযোগ, তিনি শনিবার কাজে বেরিয়েছিলেন। তাঁর ছেলেও দুর্গাপুরে কাজে চলে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন বাড়ির পিছন দিকের জানলার গ্রিল ভেঙে পড়ে আছে। ঘরের ভিতরের জিনিসপত্রও লণ্ডভণ্ড। নগদ টাকা-সহ বেশ কিছু সোনার গয়না দুষ্কৃতীরা হাতিয়ে নিয়েছে বলে গীতাদেবীর অভিযোগ। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে। |