|
|
|
|
|
|
|
মুখোমুখি ১... |
|
ইয়ং ভারতীয় টিভিতে এ বার ক্রিকেটের বাইরে কিছু চায় |
বস্তুটা খায় না মাথায় দেয়? ভারতীয় টিভি দর্শকের এখনও মোটামুটিভাবে অজানা। কেউ কেউ যদিও জানেন।
সোনি চ্যানেল যেহেতু ভারতীয় টিভি জগতে বিজাতীয় বস্তুটার আমদানি করে ফেলেছে। ইউএফসি। আলটিমেট
ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপ। কিন্তু চলবে এমন নৃশংস জিনিস? প্রশ্রয় দেবেন মা-মাসিমারা? অধুনা মাল্টি স্ক্রিন
মিডিয়া-র (সোনি এন্টারটেনমেন্ট টেলিভিশন ইন্ডিয়া নামে খ্যাত ছিল) সিইও মনজিৎ সিংহ
লাস ভেগাসে কথা বললেন গৌতম ভট্টাচার্য-এর সঙ্গে |
পত্রিকা: বলা হয় টিভি অনুষ্ঠানের বাঁচা-মরা নির্ভর করে মাসিমাদের ওপর। ফাইটারদের গা থেকে অঝোরে রক্ত ঝরছে তবু তারা লড়াইতে ব্যস্ত, এমন নৃশংস যুদ্ধ প্রশ্রয় দেবেন বাড়ির মেয়েরা?
মনজিৎ: স্পোর্টসের বেলা এই টি আর পি-র শতকরা ৬৫-৭০ শতাংশ হয়ে দাঁড়ায় পুরুষ দর্শকরা। সেটা হয়েও ইউএফসি-র মহিলা দর্শক টানতে না পারার কোনও কারণ নেই। স্টেডিয়ামে সেদিন মহিলাদের সংখ্যাটা দেখেছিলেন? গিজ, গিজ করছে। এটা আসলে এমন আকর্ষণীয় খেলা যেখানে শরীরের প্রতিটি অংশ পরীক্ষিত হয়। মন পরীক্ষিত হয়। পুরুষ-নারী নির্বিশেষে এই স্পোর্ট সকলের ভাল লাগতে বাধ্য।
পত্রিকা: কিন্তু অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণকারী তো তবু সেই মা-মাসিমারাই। মেরঠে বসে থাকা দিদিমা কী ছত্তীসগঢ়ের মাসি সিরিয়ালে রিমোট না সরিয়ে কেন হিংস্র এই লড়াই দেখবেন?
মনজিৎ: দেখবেনযেদিন আমরা এর একটা জাতীয় পরিপ্রেক্ষিত তৈরি করতে পারব। এ বারে অভিনব বিন্দ্রা যখন অলিম্পিকের শু্যটিং রেঞ্জ-য়ে গিয়ে দাঁড়াবে, শু্যটিং বুঝুন না বুঝুন, এঁরা সেটা দেখবেন। কারণ শু্যটিংয়ে আগ্রহ না থাক, পদকে তো থাকবে। মা-মাসিমাদের কথা ভাবা ছাড়াও আমরা চেষ্টা করছি ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে এদের তৈরি করার। ইউএফসি ভীষণ হেল্প করছে। আমরা অ্যাথলিটদের বাছাই করে দেশে ট্রেনিং করানোর পর সবাইকে ভেগাস নিয়ে আসা হবে আর একগুচ্ছ ট্রেনিংয়ের জন্য। সেখান থেকে পাঁচ-ছ’ রকমের মার্শাল আর্ট তাদের শেখানো হবে। ট্রেনিং থেকে ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়াসব ব্যাপারে এক্সপার্ট পরামর্শ তৈরি করে দেবে।
পত্রিকা: টিভিতে নতুন হাইপ্ড মল্লযুদ্ধ মানেই লোকের অবধারিত মনে পড়ে যায় ডব্লু ডব্লু এফ। আরেকটা লোক ঠকানো ব্যাপার হবে না তো?
মনজিৎ: ডব্লু ডব্লু এফ বিশ্ব জুড়েই একটা ধোঁকাবাজি। এখানে সে সবের কোনও চান্সই নেই। ইউএফসি হল মরণপণ, টাটকা যুদ্ধ। সেখান থেকে যে অ্যাথলিট বার হয় সে অবশ্যই সবচেয়ে টাফ।
পত্রিকা: সোনি চ্যানেলে আইপিএল-এর পর ইউএফসি কি বিনোদনের স্বাভাবিক নবতম সংযোজন?
মনজিৎ: আমাদের মনে হয়েছে এটা এমন খেলা যার মধ্যে বিনোদনের অঢেল উপাদান আছে। যেখানে খেলাটাকে ঘিরে হরেক রকমের গল্প তৈরি হতে পারে। আমাদের টার্গেট অডিয়েন্স হল ইয়ং ইন্ডিয়া। এরা লাগাতার টিভিতে টেস্ট ক্রিকেট দেখে দেখে ক্লান্ত। আইপিএল-য়ের উত্তেজনা তারা নিতে রাজি কিন্তু লম্বা ফর্ম্যাটের ক্রিকেট দেখতে নয়। আমাদের হিসেব মতো ইয়ং ইন্ডিয়ার সামনে খুলে যাচ্ছে নতুন তিনটে খেলার দিগন্ত। তিনটেই প্রচণ্ড আকর্ষণীয় হবে।
বাস্কেটবল, ফুটবল আর ইউএফসি।
পত্রিকা: স্টেডিয়ামে বসে সামনে দেখলে ইউএফসি যেমন উত্তেজক, আইপিএল-ও না। কিন্তু টিভি তো একটা ছোট এলাকায় ফোকাস করবে। টিভি ক্যামেরা কী করে এই উত্তেজনাটা অবিকল তুলে আনবে?
মনজিৎ: নিশ্চয়ই পারবে। ফ্যানদের চিৎকার, প্লেয়ারদের স্টারডম, চারপাশের এনার্জি সব মিলে জমে যাবে দারুণ। |
|
|
|
|
|