এক দিকে চাকলা রোড অন্য দিকে গুমা-বদরহাট রোড। দু’দিকের সংযোগকারী কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ-অবরোধ করেছেন এলাকার মানুষ। সেই দাবি মেনে জেলাপরিষদের উদ্যোগে এবং পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে রাস্তার কাজ।
ইদগাতে ওই রাস্তা তৈরির সূচনা করেন হাবরা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন। উপস্থিত ছিলেন প্রধান গীতা ঘোষকুণ্ডু, উপপ্রধান লিপিকা দাস, সমিতির বন ও ভূমি বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ নেহাল আলি প্রমুখ। রাস্তাটির কাজের সূচনা করার কথা ছিল খাদ্যমন্ত্রীর। কিন্তু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য তিনি আসতে পারেননি। জাকির হোসেন বলেন, “গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে রাস্তাটি তৈরি হচ্ছে। প্রায় ৩ কোটি ৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে। এলাকার বিধায়ক খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রাস্তাটি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ঠিক হয়েছে আগামী ৯ মাসের মধ্যে রাস্তার কাজ শেষ করা হবে।”
|
হাবরা-১ পঞ্চায়েত সমিতির বামিহাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে দক্ষিণসরাই (ইদগা) পর্যন্ত রাস্তাটি বহু বছর ধরে বেহাল। এ দিকে, জিওলডাঙা, যশুর, আটুলিয়া, হিলাপোল, আনোয়ারবেড়িয়া-সহ বহু গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। ওই এলাকায় রয়েছে ৩টি হাইস্কুল, ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। গ্রামবাসীরা জানান, ঝামা-মাটি ফেলা রাস্তাটি খানাখন্দে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। সাইকেল-ভ্যান নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্য যানবাহন চলাচলের কথা তো ভাবাই যায় না। বর্ষায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়। এই সামান্য বৃষ্টিতে গর্তে জল জমে রাস্তা ডোবার চেহারা নিয়েছে।
ওই রাস্তা দিয়েই পড়ুয়ারা স্কুলে যায়। গর্তে পড়ে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। চাষিরা ফসল নিয়ে যাওয়ার সময় ভ্যান উল্টে জখম হয়েছেন। পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬.৬৮ কিলোমিটার রাস্তায় পিচ পড়বে। রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছেন এলাকার মানুষ। এ দিন রাস্তার কাজ শুরুর অনুষ্ঠানে বহু মানুষ ভিড় করেছিলেন। তাঁদের কথায়, “এত দিনের লড়াই সফল হল। আমরা খুশি। এ বার থেকে আর সমস্যা হবে না।” |