মনমোহনের পাশে টাটা, ডাক সাহসী হতেও
মূল্যবৃদ্ধি থেকে আর্থিক বৃদ্ধির গতি শ্লথ হওয়া, সংস্কারে রাশ টানা থেকে সরকারের নীতি-পঙ্গুত্ব একের পর এক প্রশ্নে বিরোধীদের পাশাপাশি সরকারেরও একটা অংশের নিশানায় তিনি। দেশি সংবাদমাধ্যম থেকে বিদেশি পত্রিকা, তাঁর সমালোচনায় মুখর সবাই। এমনকী, শিল্পমহলের বড় অংশও ঘুরপথে তাঁর দিকে আঙুল তুলতে ছাড়েনি। এমন একটা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের পাশে দাঁড়ালেন রতন টাটা। আর্থিক সংস্কার ও সরকারের নীতি নির্ধারণের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ নিয়ে মুখ খুলে টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার বিরোধীদের তো বটেই, সংবাদমাধ্যম এমনকী সরকার তথা কংগ্রেসের একটা অংশকেও আক্রমণ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, অন্যদের পাশাপাশি সরকারের কিছু সদস্যও যে ভাবে অর্থনীতির বেহাল দশার পুরো দায় মনমোহনের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছেন, তা ঠিক নয়। তাঁর ‘পরামর্শ’, সংস্কার প্রশ্নে এ বার প্রধানমন্ত্রীর আরও সাহসী হওয়া উচিত।
সংস্কার প্রশ্নে মনমোহন-সরকারের ভূমিকা নিয়ে গত প্রায় এক বছর ধরে নানা ভাবে সরব হয়েছে শিল্পমহল। গত রবিবারই ভারতে বিনিয়োগের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তখন দেশের শিল্পমহল নয়াদিল্লির পাশেই দাঁড়িয়েছিল। আর আজ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন রতন টাটা। ট্যুইটারে পোস্ট করা ‘লেটস ডু দ্য রাইট থিং’ শীর্ষক ‘খোলা চিঠি’তে টাটা জানিয়েছেন, ভারতের উপরে বারবার আক্রমণ দেখে মন খারাপ হয়ে যায়। তবে দেশের অর্থনীতির হাল যে সত্যিই খারাপ, সে কথা মেনে নিয়েছেন টাটা। বলেছেন, জিনিসের দাম বেড়েছে, বিনিয়োগকারীদের আস্থাতেও চিড় ধরেছে। তাঁর মতে, সব ঠিক নেই, তবু সব দায় প্রধানমন্ত্রীর ঘাড়ে চাপানো ঠিক নয়। টাটার কথায়, “ভুললে চলবে না, এই মনমোহনই দেশে আর্থিক সংস্কারের প্রধান কারিগর। ওই সংস্কারের ফলেই দেশের আর্থিক বৃদ্ধি এসেছে, ভারত আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি পেয়েছে।” রাজনীতির অন্তর্দ্বন্দ্ব যে ক্ষতি করছে, সে কথা উল্লেখ করে বিরোধী দলগুলিকে এক হাত নিয়েছেন টাটা। জানিয়েছেন, বিরোধীরা কেবল সরকার ফেলার চেষ্টা করছে। দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে হইচইয়ে সরকারের কাজকর্ম প্রায় বন্ধ।
এ প্রসঙ্গে মনমোহনের নেতৃত্ব নিয়ে দেশি-বিদেশি একাধিক সংবাদমাধ্যম যে ভাবে সরব হয়েছে, তারও সমালোচনা করছেন রতন টাটা। সংবাদমাধ্যমকে দুষে তিনি বলেছেন, ঠিক মতো খোঁজ না নিয়েই অনেকে চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ করছে। তবে প্রধানমন্ত্রীকে যে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ করতে হবে, সে কথাও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন টাটা। তাঁর মতে, সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা ফেরাতেই হবে প্রধানমন্ত্রীকে। দেশকে ফের আর্থিক প্রগতির পথে নিয়ে যেতে হবে। টাটার বক্তব্য, এখনও ভারতে অনেকে মুক্ত বাণিজ্য চায় না। তারা সরকারি সংরক্ষণের সুযোগ নিয়ে ব্যবসা করতে চায়। সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাই তাদের হাতিয়ার। এই মানসিকতার সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রীকে লড়াই করতে হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.