|
|
|
|
টোকাটুকিতে বাধা, কলেজে তাণ্ডব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
টোকাটুকিতে বাধা পেয়ে হলদিয়ার দেভোগে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত সেন্ট্রাল প্লাস্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (সিপেট) কলেজে ভাঙচুর চালালেন একদল পড়ুয়া। বুধবার কলেজে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা চলাকালীন ছাত্ররা পরীক্ষা-হল থেকে বেরিয়ে কলেজ জুড়ে ভাঙচুর চালান। ছাত্রদের ক্ষোভ, কলেজে ক্লাস না হওয়া সত্ত্বেও পরীক্ষা-হলে কর্তৃপক্ষ কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন, ঘাড় ঘোরাতেও নাকি দিচ্ছেন না! কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য ক্লাস না-হওয়ার অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন। |
|
হলদিয়ার কলেজে ভাঙচুর। — নিজস্ব চিত্র। |
গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই কলেজের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। ৬টি বিষয়ে পরীক্ষা চলবে ২০ জুলাই পর্যন্ত। মঙ্গলবারও প্রথম বর্ষের ছাত্ররা অভিযোগ করেছিলেন, অঙ্ক পরীক্ষার প্রশ্ন ‘শক্ত’ হয়েছে। পরীক্ষা-হলে কথাও বলতে দেননি পরিদর্শকেরা। বুধবার প্রথমার্ধে প্রথম বর্ষের এবং দ্বিতীয়ার্ধে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা ছিল। প্রথমার্ধে ড্রয়িংয়ের পরীক্ষা চলাকালীন ‘কড়া নজরদারি’র অভিযোগ তুলে পরীক্ষা-হল থেকে বেরিয়ে আসেন ছাত্ররা। বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। ভাঙচুর চালানো হয় প্রশাসনিক ভবন, ক্যান্টিন, প্রেক্ষাগৃহে। কাচের দরজা-জানালা লাঠি দিয়ে ভাঙচুরের সমেয় বেশ কিছু ছাত্র সামান্য জখমও হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এসডিপিও অমিতাভ মাইতি এবং ভবানীপুর থানার ওসি বিশ্বজিৎ হালদারের নেতৃত্বে পুলিশ আসে। প্রথম বর্ষের ছাত্রদের তরফে প্রিয়রঞ্জন কুমার, রজনীশ কুমারদের অভিযোগ, “কলেজে দীর্ঘ দিন ঠিকঠাক ক্লাস হয় না। উল্টে পরীক্ষার সময়ে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।” কলেজের প্রশাসনিক আধিকারিক মনোজ দাঁ-র অবশ্য দাবি, “ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে গাফিলতির অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা। ছাত্ররাই বরং ক্লাস ফাঁকি দিয়েছে। পরীক্ষার সময়ে তারাই নকল করার চেষ্টা করেছে। বাধা পেয়ে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রদের সঙ্গে মিলে প্রথম বর্ষের ছাত্ররা এ দিন তাণ্ডব চালিয়েছে।” |
|
|
|
|
|