|
|
|
|
অধ্যক্ষ ঘেরাও টিএমসিপি-র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
বিএ পাসকোর্সের প্রথম বর্ষে আবেদনকারী সমস্ত পড়ুয়াকে ভর্তি নেওয়ার দাবিতে বুধবার বিকেল তিনটে থেকে ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের অধ্যক্ষ, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, শিক্ষাকর্মী-সহ ৩৮ জনকে ঘেরাও করে রাখেন শাসক তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন টিএসিপি-র সমর্থকেরা। প্রায় ৬ ঘণ্টা ঘেরাও চলার পরে রাত ৯টা নাগাদ পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘেরাও মুক্ত হন অধ্যক্ষ-সহ সকলে। টিএসিপি-র দাবি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দেন অধ্যক্ষ।
এ দিন বিএ পাসকোর্সে ভর্তির কাউন্সেলিং ছিল। গত বছর বিএ পাস-এ ৪৪০ জন ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি নেওয়া হয়েছিল। এ বার আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৮৫। কিন্তু তিনশো আবেদনকারী ভর্তি হয়ে পারেননি বলে টিএমসিপি-র দাবি। |
|
ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজে ঘেরাও। —নিজস্ব চিত্র। |
ঘেরাও-আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা টিএমসিপি-র সৌম্য সুঁই, সৌরভ মণ্ডলদের বক্তব্য, “গতবছর অক্টোবরে এসে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, রাজ কলেজে আসন বাড়ানো হবে। কিন্তু কলেজ-কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হচ্ছে না।” অধ্যক্ষ কিশোরকুমার রাঢ়ীর অবশ্য বক্তব্য, “সরকারি নিয়ম মেনেই এ বার আসন-সংখ্যা বেড়েছে। বর্ধিত আসন সংখ্যারও অতিরিক্ত পড়ুয়া ভর্তি নেওয়ার পরিকাঠামো আমাদের নেই।” টিমসিপি-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি লোকেশ করের বক্তব্য, “অধ্যক্ষকে এতক্ষণ ঘেরাও করে রাখাটা ঠিক হয়নি। তবে আমাদের সমর্থক-পড়ুয়াদের দাবিগুলিও কিন্তু ন্যায্য। বিষয়টি জানার পরেই স্থানীয় নেতৃত্বকে আলোচনার ভিত্তিতে অবিলম্বে ঘেরাও তুলে নিতে বলি। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকেও আসন সংখ্যা বাড়ানোর
অনুরোধ করেছি।” |
|
|
|
|
|