তরুণীর অপমৃত্যুর মামলায় স্বামীর জামিনের আর্জি নাকচ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
ঝাড়গ্রাম শহরের তরুণী-বধূ মলিনা আখতারের অপমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত মৃতার স্বামী শেখ আব্দুল মকসুদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল ঝাড়গ্রামের এসিজেএম আদালত। গত ৪ জুলাই রাতে ঝাড়গ্রামের পাঁচমাথা মোড় থেকে মকসুদকে ধরেছিল পুলিশ। চন্দ্রি অঞ্চলের আস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মকসুদের বাড়ি পুরনো ঝাড়গ্রাম এলাকায়। গত ৫ জুলাই ধৃতকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে হাজির করা হলে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ হয়েছিল। বুধবার ফের হাজিরার দিন অভিযুক্তের জামিনের আবেদনের শুনানি হয়। বিচারক প্রিয়জিৎ চট্টোপাধ্যায় সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে আরও ১৪ দিন জেল-হাজতেরই নির্দেশ দেন।
বুধবার দুপুরে মকসুদকে নিয়ে প্রিজনভ্যান আদালতে ঢোকার সময়ে সিপিএমের মহিলা সংগঠন ‘পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি’ এবং সিপিআইয়ের মহিলা সংগঠন ‘পশ্চিমবঙ্গ মহিলা সমিতি’র পক্ষ থেকে একযোগে আদালতের বাইরে ঝাঁটা-জুতো নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। গত ১৮ এপ্রিল সকালে শ্বশুরবাড়ির একটি ঘরে বছর একুশের মলিনাকে সিলিং থেকে গলায় দড়ি দিয়ে খাটে পা-মোড়া (অর্ধ-ঝুলন্ত) অবস্থায় পাওয়া যায়। |
|
আদালতের বাইরে বিক্ষোভ। ছবি: দেবরাজ ঘোষ |
ওই ঘর থেকে খবরের কাগজের উপরে লেখা একটি মৃত্যুকালীন জবানবন্দিও উদ্ধার হয় বলে পুলিশের দাবি। ওই দিনই ঝাড়গ্রাম থানায় মলিনার স্বামী, ননদ ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে পণের দাবিতে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাবা শেখ মুরসেদ আলি। কিন্তু অভিযুক্তেরা গ্রেফতার না-হওয়ায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগপত্র পাঠান মলিনার বাবা। অভিযোগ জানানো হয় পুলিশ-প্রশাসনের উপর মহলেও। মলিনার মৃত্যু-রহস্য উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে এবং পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে সোচ্চার হয় একাধিক গণ-সংগঠনও। শেষে গত ৪ জুলাই মকসুদ গ্রেফতার হন। বাকি দুই অভিযুক্ত (মলিনার শাশুড়ি ও ননদ) এখনও ‘ফেরার’। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের বাংলা অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মলিনার সঙ্গে মকসুদের সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছিল। |
|