|
|
|
|
পুলিশি প্রহরায় খালি হল জেলের আবাসন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আগে কয়েকবার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার সংলগ্ন আবাসন খালি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আবাসিকেরা সেই নির্দেশ অগ্রাহ্য করেছিলেন। এ বার আদালতের নির্দেশে পুলিশ প্রহরায় আবাসন খালি করা হল। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপার খগেন্দ্রনাথ বীর বলেন, “আগে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। এ বার আদালতের নির্দেশে আবাসন খালি করা হল।”
বুধবার সকাল থেকে আবাসন খালি করার কাজ শুরু হয়। গোড়ায় কয়েকজন কারারক্ষী প্রতিবাদের চেষ্টা করেন। সামান্য উত্তেজনাও দেখা দেয়। পরে অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। জেল কর্তৃপক্ষ জানান, এ ক্ষেত্রে তাঁদের করণীয় কিছু নেই। আদালতের নির্দেশ মানতে হবে। অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে এ দিন সংশোধনাগার সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। ছিলেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল নাথ। কয়েক বছর আগে, পশ্চিম মেদিনীপুরে মাওবাদীদের প্রভাব বাড়ার পর সংশোধনাগার চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজার পরিকল্পনা করা হয়। নজরদারির ফাঁক গলে এই সংশোধনাগারে মাওবাদীরা হামলা চালাতে পারে, এক সময় গোয়েন্দা দফতর মারফৎ এমনও রিপোর্ট পেয়েছিল রাজ্য সরকার। |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
এই সংশোধনাগারে প্রায় এক হাজার বন্দি রয়েছেন। সুদীপ চোঙদার, কল্পনা মাইতি, ছত্রধর মাহাতো, প্রসূন চট্টোপাধ্যায়, রাজা সরখেলের মতো মাওবাদী সন্দেহে ধৃতরাও এখানেই আছেন। সেই সঙ্গে রয়েছেন বেশ কয়েকজন কুখ্যাত অপরাধী। নিরাপত্তার স্বার্থেই জেল চত্বরের আশপাশে কারারক্ষীদের আবাসন খালি করার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। সেই মতো নোটিস দেওয়া হয়। কিন্তু আবাসিকেরা তা প্রত্যাহারের দাবি তোলেন। বিক্ষোভও হয়। একাধিক সংগঠন দাবি করে, আগে কর্মচারীদের থাকার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। কর্তৃপক্ষ জোর করে উচ্ছেদ করতে এলে আন্দোলন হবে। জেল সূত্রে খবর, সম্প্রতি আদালত আবাসন খালি করার নির্দেশ দেয়। সেই মতো ১৫ জুনের মধ্যে সকলকে আবাসন খালি করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা না হওয়ায় এ দিন পুলিশ প্রহরায় আবাসন খালি করা হল। সব মিলিয়ে ৮টি আবাসন খালি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি আবাসনে থাকতেন জেলরক্ষী কৌশিক দেব পাত্র। তিনি বলেন, “এ বার পরিবার নিয়ে যাব কোথায়? আমরা তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিকল্প ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছিলাম।” কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিকল্প ব্যবস্থার ব্যাপারে কিছু আশ্বাস দেননি। |
|
|
|
|
|