|
|
|
|
নন্দীগ্রামে ‘মিথ্যে’ মামলা তোলার দাবি জানাল ভূমি কমিটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
নন্দীগ্রামে ‘মিথ্যে’ মামলা প্রত্যাহারের জন্য নিজেদের সরকারের কাছেই দাবি জানাল ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি।
গত বছর ক্ষমতায় এসেই নন্দীগ্রামের জমি-রক্ষা আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল সরকার। ১৪ মাস কেটে গেলেও কয়েকশো মামলার কোনওটাই প্রায় প্রত্যাহার হয়নি। গত ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামের সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং ফের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাওয়ার পরেও মামলা প্রত্যাহারের কাজ তেমন এগোয়নি বলেই অভিযোগ। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে ‘পরিবর্তনের আঁতুরঘরে’।
বুধবার নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে ভূমি-কমিটির ডাকে গণ-কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছিল। তৃণমূল নেতৃত্বের পাশাপাশি কমিটির শরিক কংগ্রেস, এসএউসি এবং পিডিসিআইয়ের স্থানীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূলের আবু তাহের, পীযূষ ভুঁইয়ার মতো নেতারা অবিলম্বে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
পেশায় আইনজীবী পীযূষবাবু বলেন, “সাড়ে তিনশোরও বেশি মিথ্যা মামলায় সাত হাজারের মতো মানুষ অভিযুক্ত। আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে শুরু করে নানা ভাবে সাধারণ মানুষকে হয়রান হতে হচ্ছে। বিভিন্ন মামলার সূত্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে পুলিশও ধরপাকড় চালাচ্ছে।”
রাজ্যের আইন ও বিচারমন্ত্রী মলয় ঘটকের অবশ্য বক্তব্য, “বন্দি-মুক্তি, মামলা প্রত্যাহারের বিষয়গুলি বিবেচনার জন্য রাজ্য সরকার যে রিভিউ কমিটি গড়েছে, তাদের সুপারিশ যেমন আসছে, খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। নন্দীগ্রামের মামলাগুলির ক্ষেত্রেও তেমনই হচ্ছে।”
পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন। তাই এখানে খানিক অস্বস্তিতেই তৃণমূল নেতৃত্ব। নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে অভিযুক্ত সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ জামিন পাওয়াতেও অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূল-শিবিরে। এই অবস্থায় নন্দীগ্রাম-পর্বে অভিযুক্ত সব সিপিএম নেতা-কর্মীর গ্রেফতারের দাবিও ফের তোলা হয়েছে। |
|
|
|
|
|