উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করতে ২,০০০ কোটি টাকা লগ্নির পরকল্পনা করেছে হিন্দুস্তান ন্যাশনাল গ্লাস। এর মধ্যে নতুন কারখানা তৈরি ও পুরনো কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদেশে অধিগ্রহণের পরিকল্পনাও রয়েছে ভারতে কাচের বোতল তৈরির বৃহত্তম ওই সংস্থার।
ইতিমধ্যেই নাসিকের কারখানায় উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় তিন গুণ বাড়িয়েছে হিন্দুস্তান গ্লাস। এর জন্য সেখানে একটি অত্যাধুনিক চুল্লি (ফার্নেস)-ও বসিয়েছে তারা। চুল্লি-সহ কারখানাটি ঢেলে সাজার পর সম্প্রতি সেটির উদ্বোধন করেন স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান প্রতীপ চৌধুরী।
চুল্লিটি বসানোর পর কারখানার উৎপাদন দিনে ৬৫০ টন বেড়ে গিয়েছে। মোট উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে দৈনিক ১ হাজার টন। কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশেষ প্রযুক্তিতে বসানো এই চুল্লিই বিশ্বে বৃহত্তম। কারখানাটিকে আধুনিক করতে ৭৫০ কোটি টাকা তাঁরা খরচ করেছেন, জানান চেয়ারম্যান সি কে সোমানি।
অন্ধ্র প্রদেশের নাইডুপেটায় আরও একটি অত্যাধুনিক কারখানা খুব শীঘ্রই চালু করতে চলেছে হিন্দুস্তান গ্লাস। সেখানে উৎপাদন হবে দিনে ৬৫০ টন কাচের বোতল। কারখানাটি গড়তে খরচ পড়ছে ৮০০ কোটি টাকা।
হিন্দুস্তান ন্যাশনাল গ্লাস মূলত পশ্চিমবঙ্গের সংস্থা। হুগলির বিষড়ায় তাদের প্রথম কারখানাটিতে উৎপাদন শুরু হয় ১৯৫২-এ। এখন বিষড়ায় দিনে ৮৫০ টন কাচের বোতল তৈরি হয়। সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর দীপংকর চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, দেশে কাচের বোতলের বাজারের ৬০% তাঁদের দখলে।
বিষড়া-সহ দেশে সংস্থার ৬টি কারখানা। শীঘ্রই যুক্ত হবে নাইডুপেটার কারখানাটি। জার্মানিতেও আছে একটি। আর সব মিলিয়ে উৎপাদন ক্ষমতা দিনে ৪,০০০ টন। সোমানির দাবি, “আমাদের লক্ষ্য, বছর তিনেকের মধ্যেই উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করা।” |