সামান্য কমলো ক্রেতাদের খুচরো বাজার দরের ভিত্তিতে হিসাব করা মূল্যবৃদ্ধির হার।
বুধবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে জুনে তা নেমেছে ১০.০২ শতাংশে। তবে শাক-সব্জি, ভোজ্যতেল ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম লাফিয়ে বাড়ায় চড়া বাজার দরের হাত থেকে রেহাই মেলেনি মানুষের। মে মাসে এই হার ছিল ১০.৩৬%। এ নিয়ে পরপর তিন মাস ১০ শতাংশের ওপরেই রইল এই মূল্যবৃদ্ধি।
এর মধ্যে জুনে খুচরো দামের ভিত্তিতে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পৌঁছেছে ১০.৭১ শতাংশে। গত মাসে তা ছিল ১০.৬৬%। বৃষ্টিপাত অন্যান্য বছরের গড়ের তুলনায় কম হতে পারে, এই আশঙ্কাই খাদ্যসামগ্রীর আকাশছোঁয়া দামের জন্য অনেকটা দায়ী বলে মত অর্থনীতিবিদদের। বার্ষিক ভিত্তিতে জুনে শুধু সব্জির দামই বেড়েছে ২৭.৬০%। তার পরেই রয়েছে ভোজ্যতেল ১৬.৫৮%, দুগ্ধজাত পণ্য ১২.৭৫%। তুলনায় ফলের দাম বেড়েছে কিছুটা কম হারে, প্রায় ৭%। উল্লেখ্য, খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির হার হিসাবে খাদ্যপণ্যের গুরুত্ব বেশি, ৪৩%। |
পাইকারি দরের ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার অবশ্য জুনে কমে দাঁড়িয়েছে ৭.২৫%। ফেব্রুয়ারিতেই প্রথম খুচরো দাম নিয়ে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার কেন্দ্র প্রকাশ করে জানুয়ারি মাসের জন্য। মূল্যবৃদ্ধির হার জানুয়ারিতে দাঁড়ায় ৭.৬৫%। তার পর ফেব্রুয়ারির হার ছিল ৮.৮৩%, মার্চে ৯.৪৭%।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খুচরো সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা এই হারই মানুষের ওপর মূল্যবৃদ্ধির চাপ কতটা, তার বাস্তব ছবিটা আরও স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তোলে। কারণ পাইকারি সূচকে উৎপাদকদের দৃষ্টি থেকে মূল্যবৃদ্ধির গতি স্থির করা হয়। কিন্তু এখানে খুচরো বাজার দরই হিসাবের ভিত্তি। তাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার সুদ স্থির করতে এখন থেকে এই হারে জোর দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সে ক্ষেত্রে ৩১ জুলাই শীর্ষ ব্যাঙ্ক তার ঋণনীতি ফিরে দেখতে গিয়ে এই হারকে গুরুত্ব দিতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তাঁরা। অন্য দিকে, মূল্যবৃদ্ধির এই সূচকে পরিষেবা ক্ষেত্রকেও অন্তর্গত করা হয়েছে। সে দিক দিয়েও এই হিসাব গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় আয়ে পরিষেবা ক্ষেত্রের অবদান ৫৫%। |