|
|
|
|
উত্তাল কাটিহার |
গুলিতে যুবকের মৃত্যু ঘিরে কাঠগড়ায় বিজেপি নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
বিজেপি নেতা তথা বিধান পরিষদের এক সদস্যের নিরাপত্তা রক্ষীর কার্বাইন থেকে গুলি বেরিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সকালে কাটিহার শহর উত্তাল হয়ে ওঠে। আজকের ঘটনায় এলাকার মানুষের বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিও চালাতে হয়। মৃতের ভাইয়ের অভিযোগ, বিধান পরিষদের ওই সদস্য অশোক অগ্রবালই তাঁর ভাইকে খুন করেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুন মাসে আরারিয়ার ফরবিসগঞ্জে এই বিজেপি নেতা তাঁর কারখানা তৈরির জন্য ভজনপুর গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি দখল করে দেওয়াল তুলে দিয়েছিলেন। নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামের বাসিন্দারা সেই সময় তার প্রতিবাদ জানাতে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। তাতে চার গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার সময় এই বিধায়কের বাবা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেই সময় রাজ্য জুড়ে ফরবিসগঞ্জের ঘটনা আলোড়ন তুলেছিল। রাজনৈতিক মহলের মতে, অশোক অগ্রবাল উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদির ঘনিষ্ঠ হিসেবেই বিজেপি রাজনীতিতে পরিচিত।
পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে এ দিনের ঘটনার ব্যাপারে যা জানা গিয়েছে তাতে কাটিহার শহরে অশোক অগ্রবাল নামে বিজেপির ওই নেতার একটি পেট্রোল পাম্প আছে। তাঁর বাড়ি ওই পাম্পের পাশেই। আজ সকালে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী অবধকিশোর যাদব কার্বাইন পরিষ্কার করছিলেন। সেই সময় ওই পাম্পের কর্মী ধীরজ মাহাতো (৩৫) সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ কার্বাইন থেকে গুলি ছিটকে ধীরজের গায়ে লাগে। তাতেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরে নয়াটোলায় ধীরজের বাড়িতে খবর যায়। তাঁর ভাই নীরজ বিধায়ক অশোক অগ্রবালের বিরুদ্ধে আঙুল তোলে। নীরজের অভিযোগে স্থানীয় মানুষও অশোক অগ্রবালের উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা বিধায়ককে গ্রেফতারের দাবি জানাতে থাকে। বিধায়কের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সময় উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়। নিরাপত্তা বাড়াতে ওই বিধায়কের বাড়ির চারদিক পুলিশ ঘিরে রেখেছে। এই ঘটনার পরে ওই নিরাপত্তা রক্ষীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকার মানুষের অভিযোগ, ওই রক্ষীকে বিধায়ক নিজের আশ্রয়ে লুকিয়ে রেখেছেন। থানা থেকে জানানো হয়েছে, ওই কর্মীর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ডিএসপি (সদর) যুগল কিশোর প্রসাদ বলেন, “কী ঘটেছে তা এখনই সঠিক ভাবে বলা মুশকিল। ঘটনার তদন্ত চলছে। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি।” |
|
|
|
|
|