নদীর জল উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকায় ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহারের চারটি মহকুমায় বিকেল পর্য্যন্ত ১৫ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সোমবার বিকেল পর্য্যন্ত প্রায় দেড় হাজার বাসিন্দা ওই সব ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। তার মধ্যে তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের ফলিমারি, মহিষকুচি ও ভানুকুমারী, ছোট লাউকুঠি ও বড় লাউকুঠি বিস্তীর্ণ এলাকায় সঙ্কোশ ও রায়ডাক নদীর জল ঢুকে পড়েছে। সিঙ্গিমারি নদীর জলে প্লাবিত হয়ে পড়েছে দিনহাটার সিতাই ব্লকের কাজলিকুড়া। কোচবিহার সদর মহকুমার চাঁদামারি ও পুটিমারী-ফুলেশ্বরীতে মানসাই ও মধুপুর, টাকাগছ-রাজারহাট, ঘুঘুমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় এদিন তোর্সার জল উপচে ঢুকে কয়েকশো পরিবার জলবন্দি হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে কোচবিহার-১ ব্লকে ২ টি ও কোচবিহার-২ ব্লকে ৫ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। |
মেখলিগঞ্জ মহকুমার নিজ তরফ, তিস্তা পয়োস্তি, হোসেনেরচর এলাকায় তিস্তার জল ঢুকেছে। জল ঢুকেছে হলদিবাড়ির কিছু এলাকাতেও। সব মিলিয়ে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। হলুদ সঙ্কেতে ওপর দিয়ে জল বইছে। মাথাভাঙার মানসাই নদীতেও। ফলে উদ্বেগ রয়েছে মানসাই লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদেরও। কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি দিলীপ বিশ্বাস বলেন, “জেলার সমস্ত নদীই ফুঁসছে। বেশ কিছু এলাকায় জল ঢুকে পড়ায় মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। বিডিও’দের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।” কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।” প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, জেলার সমস্ত নদীর জল বাড়ছে। মাথাভাঙার মানসাই নদীতেই শুধু নয়, মেখলিগঞ্জে তিস্তায় অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা, তুফানগঞ্জের রায়ডাক, সংকোশ নদীতেও হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছে। তোর্সা, কালজানি, গদাধর, সুটুঙ্গা, সিঙ্গিমারী নদী ফুঁসছে। তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের বিডিও সিদ্ধার্থ সুব্বা বলেন, “ব্লকে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নদীর জল ঢুকেছে। দুই হাজার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। ৮ টি ত্রাণ শিবিরে কয়েকশ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।” দিনহাটার মহকুমা শাসক অগাস্টিন লেপচা জানান, কাজলিকুড়ার দুর্গতদের ত্রাণ শিবিরে আনার প্রক্রিয়া চলছে। |