জাতীয় স্তরের অ্যাথলিট পিঙ্কি প্রামাণিকের কসবার জমি সংক্রান্ত বিতর্কের জেরে ওই এলাকায় কেএমডিএ-র জমির বর্তমান অবস্থা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)-র সিইও বিবেক ভরদ্বাজকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলেছেন মন্ত্রী।
২০০৬ সালে দোহা এশিয়াডে সফল অন্য কয়েক জন অ্যাথলিট ও খেলোয়াড়ের সঙ্গে পিঙ্কিকেও লিজ চুক্তির ভিত্তিতে ই এম বাইপাসের কসবা এলাকায় জমি দিয়েছিল তদানীন্তন বামফ্রন্ট সরকার। সোনাজয়ী অ্যাথলিট পিঙ্কির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরে জমি সংক্রান্ত বিতর্ক সামনে আসে। অভিযোগ, বাম আমলে পাওয়া পিঙ্কির ওই জমি জোর করে হাতিয়ে নিয়ে আর এক সোনাজয়ী প্রাক্তন অ্যাথলিট জ্যোতির্ময়ী শিকদারের স্বামী এবং প্রাক্তন অ্যাথলিট অবতার সিংহ সেখানে প্রোমোটারি করছেন। এ কথা উল্লেখ করে পুরমন্ত্রী সোমবার মহাকরণে জানান, স্থানীয় স্তরে এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই তিনি সিইও-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “বাম আমলে কী নিয়মে ওই জমি দেওয়া হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। শুধু পিঙ্কির জমি নয়, অন্য যাঁরা জমি পেয়েছেন, তাঁদের জমিতেই বা কী হয়েছে, কেউ অনুমতি ছাড়াই ওই সব জমিকে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করছেন কি না, নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে ওই সব জমি সাব-লিজ চুক্তিতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে কি না সবই তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে।”
পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর তদন্তের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন জ্যোতির্ময়ী। তিনি এ দিন গিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দাখিল করতে। প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ জ্যোতির্ময়ী বলেন, “বাম আমলে খেলোয়াড়দের যত জমি দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত হোক। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগকারী অনামিকা আচার্য এবং যাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা করছেন, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা করছি। ১৮ জুলাই মামলা উঠবে। আদালতেই আসল সত্য বেরোবে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, অবতার যদি পিঙ্কির জমির সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত বলে প্রমাণিত হয়, তা হলে এশিয়াডের জোড়া স্বর্ণপদক ফেরত দিয়ে দেব।”বাম জমানায় জমি বিলির যথার্থতা নিয়েই এ দিন আবার প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। তিনি বলেন, “বাম আমলে যে-সব খেলোয়াড় সিপিএমের কাছের লোক ছিলেন, তাঁরাই শুধু জমি পেয়েছেন। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যে-সব কৃতী খেলোয়াড় জমি পাননি, সাত দিনের মধ্যে আমি তাঁদের তালিকা প্রকাশ করব।” |