রাজ্যের হলফনামা তলব
কলেজে গরহাজির কর্মীদের শো-কজ কেন, প্রশ্ন কোর্টের
ত ২৮ ফেব্রুয়ারি, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ভারত বনধের দিনে অনুপস্থিতির জন্য বিভিন্ন কলেজের শিক্ষাকর্মীদের কারণ দর্শাতে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। কারণ দর্শানোর ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল কেন, সরকারকে হলফনামা দিয়ে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কয়েকটি কলেজের শিক্ষাকর্মীদের পক্ষে পৃথ্বীশ ভট্টাচার্য-সহ কয়েক জন হাইকোর্টে মামলা করে বলেন, তাঁরা রাজ্য সরকারের কর্মী নন। তাই তাঁদের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনও নির্দেশ এ ভাবে বলবৎ করা যায় না।
বামপন্থীদের ডাকা ওই বন্ধের আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, প্রস্তাবিত বন্ধের দিনে সরকারি কর্মচারীদের কাজে আসতেই হবে। ওই দিন দফতরে হাজিরা না-দিলে বেতন কাটা যাবে, এমনকী গরহাজিরার উপযুক্ত কারণ দেখাতে না-পারলে চাকরিতে ছেদ পড়বে। পরবর্তী কালে রাজ্য সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বন্ধের দিনে গরহাজির কর্মীদের ৩১ মার্চের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়। রাজ্য সরকারের সেই বিজ্ঞপ্তি কলেজগুলিতে পাঠিয়ে দিয়ে শিক্ষা অধিকর্তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। শিক্ষা অধিকর্তার নোটিস পাওয়ার পরে বন্ধের দিনে অনুপস্থিত অশিক্ষক কর্মীদের কারণ দর্শাতে বলেন কলেজের অধ্যক্ষ।
সোমবার আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় শুনানির সময় বলেন, রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কলেজ-কর্তৃপক্ষ বন্ধের দিনে অনুপস্থিত কর্মীদের কারণ দর্শাতে বলতেই পারেন না। সংশ্লিষ্ট কলেজগুলি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন। তারা চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মবিধি মেনে। ওই দিনের গরহাজিরার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্মীদের কিছুই বলেনি। তাই রাজ্য সরকার এ ক্ষেত্রে কারণ দর্শাতে বলতে পারে না।
সুব্রতবাবু জানান, আবেদনকারীরা একটি শিক্ষাকর্মী সংগঠনের সদস্য। সেটি বামপন্থী সংগঠন অনুমোদিত। সেই বামপন্থী সংগঠনটি দীর্ঘ কাল ধরে জনস্বার্থে নানা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেও দাবি আদায়ে ব্যর্থ হলে তারা কখনও কখনও বন্ধের ডাক দেয়। আবেদনকারীরা সেই ডাকে সাড়া দিয়ে কলেজ-কর্তৃপক্ষকে আগাম জানিয়েই বন্ধের দিনে কর্মস্থলে গরহাজির ছিলেন। সংবিধান এ ভাবে কর্মীদের ধর্মঘটের অধিকার দিয়েছে। সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, উন্নয়নের স্বার্থেই রাজ্য সরকার বন্ধ, অবরোধ ইত্যাদির বিরোধী। সেই কারণেই ওই দিন কর্মীরা দফতরে গরহাজির থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে রাজ্য সরকার আগেভাগে জানিয়ে দিয়েছিল। বন্ধের দিনে কর্মীরা যাতে নির্বিঘ্নে কাজে আসতে পারেন, সরকার তারও ব্যবস্থা করেছিল।
দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি গিরীশ গুপ্ত রাজ্য সরকারকে দু’সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.