মাওবাদীদের অযোধ্যা স্কোয়াড সদস্য রাজু মুর্মুকে গ্রেফতারের পর তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে অযোধ্যা পাহাড়ে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশকর্তাদের দাবি, অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হওয়া স্কোয়াড সদস্যকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাফল্য মিলেছে। ২০১১ সালের মার্চে এই স্কোয়াডেরই জলধর কুমার নামে এক সদস্যকে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ওই মাসেই পাহাড়ের ছতরাজেরার অদূরে ঘনজঙ্গলে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় পার্থ-সৌম্যজিতের দেহ। জেলা পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “ধৃত এই মাওবাদী স্কোয়াড সদস্যকে নিয়ে পাহাড়-সহ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। কিছু জিনিস পাওয়া গিয়েছে।” এখনও তল্লাশি চলছে। তাই এখনই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। গত বৃহস্পতিবার রাতে বাঁকুড়ার ওন্দা থানা এলাকার নাকাইজুড়ি মোড় এলাকা ও মোহনপুর গ্রাম থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে অযোধ্যা স্কোয়াড সদস্য রাজু ও তার স্ত্রী সুজাতাকে। স্কোয়াডে এরা রমেশ ও সুজাতা নামে পরিচিত ছিল।
|
বাল্য বিবাহ রোখার জন্য পুরুলিয়ায় পুলিশ-প্রশাসনের অভিযান চলছেই। এ বারের ঘটনাস্থল হুড়া থানা এলাকার চিন্টুরডাঙ্গা গ্রাম। পতিতপাবন মাহাতোর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান রয়েছে বলে গত রবিবার রাতে প্রশাসনের কাছে খবর যায়। খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে ওই পাত্রীর বিয়ের বয়স হয়নি। এর পরেই হুড়ার বিডিও বিশ্বনাথ রক্ষিত গ্রামে গিয়ে পতিতপাবনবাবুকে বুঝিয়ে বিয়ে রোখার ব্যবস্থা করেন। প্রথমে অবশ্য বিডিও-র সঙ্গে মেয়ের পরিবারের কয়েকজনের তর্ক-বিতর্কও হয়েছিল এবং পুঞ্চার দামোদরপুরে পাত্রের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। পরে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়, বিয়ের বয়স হলে এই পাত্র-পাত্রীর মধ্যেই বিয়ে হবে। এ দিকে, বিয়ের জন্য সমস্ত রকম প্রস্তুতি সেরে ফেলেছিলেন পতিতপাবনবাবু। তিনি বলেন, “আঠারো বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেওয়া উচিত নয় তা জানতাম না। জানলে আমি এত আয়োজন করতাম না। পাত্রের দাদা গুরুপদ মাহাতোও বলেন,
“আমরাও জানতাম না। তবে যখন মেয়ের বিয়ের বয়স হবে তখনই এই বিয়ে হবে।” বিডিও বিশ্বনাথ রক্ষিত বলেন, “দুই পক্ষই প্রশাসনকে লিখিত দিয়েছেন যে মেয়ের বিয়ের বয়স হওয়ার আগে এই বিয়ে হবে না।”
|
মূল্যবৃদ্ধি ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার ‘অবনতি’র প্রতিবাদে আইন অমান্য আন্দোলন করল বামফ্রণ্ট। সোমবার বাঁকুড়া জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে আইন অমান্য করেন কয়েক হাজার বামফ্রণ্ট কর্মী। সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্র বলেন, “সারা রাজ্য জুড়ে নৈরাজ্য চলছে। আমাদের কর্মীরা তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। পুলিশ নিস্ক্রিয়। এ ছাড়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। তাই আমরা আইন অমান্য আন্দোলনে নেমেছি।”
|
গ্রামে ঢোকার মুখেই দেশি মদের দোকান। পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে গ্রামের। এই অভিযোগে রবিবার সন্ধ্যায় রঘুনাথপুর থানার বাকড়াডাঙ্গা গ্রামে ওই মদের দোকানে ভাঙচুর করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দোকানের ম্যানেজার রামবিলাস সাউয়ের অভিযোগ, “দোকানে ঢুকে ভাঙচুর করার পাশাপাশি কিছু দুষ্কৃতী টাকা লুঠ করেছে, কর্মীদের নিগ্রহ করেছে।” এ ব্যাপারে সোমবার রঘুনাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি।
|
এ বার পুরুলিয়ার আনন্দমঠ হোম পরিদর্শন করলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক নেপাল মাহাতো। সোমবার দুপুরে তিনি পুরুলিয়ার শিমূলিয়ায় আনন্দমঠ হোমে গিয়ে আবাসিক মেয়েদের সঙ্গে কথা বলেন। আবাসিকেরা এ দিনও খাবারের পরিমাণ নিয়ে নেপালবাবুর কাছে অভিযোগ করেন। তার আগে অবশ্য নেপালবাবু হোমের সুপার ডালিয়া আচার্যের সঙ্গে কথা বলেন। কর্মী ও জলের অভাব রয়েছে, গাড়ি থাকলেও চালক নেই বলে অভিযোগ শোনেন তিনি। নেপালবাবু বলেন, “যা দেখলাম বিধানসভায় গিয়ে বলব। আগের বামফ্রণ্ট সরকার এই হোমের দিকে নজর দেয়নি। আর বর্তমান সরকারের কাছেও হোম সেই তিমিরেই।”
|
রবিবার বোরো থানার জামতড়িয়া জ্যোতির্ময় গ্রন্থাগারের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে জয়ী হল তৃণমূল। তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা ৭টি আসন পেয়েছেন। আগে ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। |