|
|
|
|
দলীয় ঐক্য স্থাপনে জোর তৃণমূল নেতৃত্বের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়েই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল। সেই সুযোগে কিছু জায়গায় সিপিএম হারানো জমি পুনরুদ্ধারেরও চেষ্টা করছে বলে শাসকদলের কিছু নেতার মত। এই পরিস্থিতিতে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সিপিএমের বিরুদ্ধে ‘ঐক্যবদ্ধ’ লড়াইয়ের ডাক দিলেন জেলা তৃণমূল-নেতৃত্ব। সোমবার মেদিনীপুরে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় নেতারা বললেন, “দল বাড়লে বোঝাপড়ায় সমস্যা হবেই। তবে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ওই নির্বাচনে জেলার প্রতিটি এলাকায় ঘাসফুল ফোটাতে হবে।” |
|
মেদিনীপুরে তৃণমূলের সভা। —নিজস্ব চিত্র। |
ক’দিন আগেই কেশপুরের আনন্দপুরে ১৪ মাস বন্ধ হয়ে পড়া থাকা লোকাল কমিটির অফিস খুলেছিল সিপিএম। পরে অবশ্য তা ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে তাঁদের দ্বন্দ্বের ‘সুযোগ’ নিতে সিপিএম যে চেষ্টায় কসুর করবে না, তা মানছেন একাংশ তৃণমূল নেতাও। এই পরিস্থিতিতেই ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক। আগামী ২১ জুলাই কলকাতার ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ। তারই প্রস্তুতিতে এ দিন মেদিনীপুর শহরে গাঁধীমূর্তির পাদদেশে সভার করে যুব-তৃণমূল। ছিলেন যুব-তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার, তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, জেলা যুব-সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী প্রমুখ। ছিলেন দলের বিধায়কেরাও। দেবাশিস কুমার বলেন, “এ বারের সমাবেশের ভিন্ন মাত্রা আছে। গত এক বছরে বাংলার উন্নয়নে কী কী হয়েছে, সভা থেকে তা ঘোষণা করবেন নেত্রী। আগে জঙ্গলমহলে আসতে মানুষ ভয় পেত। এখন সেই পরিস্থিতি নেই।” দীনেন রায়ের কথায়, “আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের জিততেই হবে। এমন কিছু করবেন না যাতে মানুষ আপনাদের দিকে আঙুল তুলতে পারেন।” ব্লকে-ব্লকে মিটিং-মিছিল করে এক বছরে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরার নির্দেশ দেন নেতৃত্ব। |
|
|
|
|
|