|
|
|
|
বাগনানে রাস্তা বেহাল, দুর্ভোগ নিত্যযাত্রীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগনান |
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় তৈরির মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই বেহাল হয়ে পড়েছে হাওড়ার বাগনান-২ ব্লকের কুলিতাপাড়া লকগেট থেকে কাঁটাপুকুর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তাটি। এর মধ্যে আন্টিলা পোল থেকে কুলিতাপাড়া লকগেট পর্যন্ত তিন কিলোমিটারের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। আন্টিলা এবং চন্দ্রতারা এই দু’টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ নিয়মিত রাস্তাটি ব্যবহার করেন। এ ছাড়াও, চন্দ্রতারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অন্যতম বর্ধিষ্ণু গ্রাম রবিভাগের বাসিন্দারাও এই রাস্তা ব্যবহার করেন।
কুলিতাপাড়া লকগেটের কাছে খেয়া ব্যবহার করে দামোদর পার হয়ে বহু মানুষ উলুবেড়িয়া যাতায়াত করেন। রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ায় সাইকেল ও মোটরবাইক নিয়ে যাতায়াতে সমস্যায় পড়েন সকলেই। সম্প্রতি রবিভাগ গ্রাম পর্যন্ত চালু হয়েছে অটোরিকশা। কিন্তু রাস্তায় তৈরি হওয়ায় বড় বড় গর্ত এড়িয়ে চলতে গিয়ে অটো-চালকদের প্রাণান্ত হয়। তা ছাড়া, রাস্তায় ফুটপাথের অনেক জায়গাই জবরদখল হয়ে গিয়েছে। বাড়ি তৈরির ইমারতি দ্রব্য অনেকেই রেখে দেন রাস্তার মাঝখান পর্যন্ত জায়গা জুড়ে। সপ্তাহে তিন দিন কুলিতাপাড়ায় হাট বসে। ব্যাপারীরা রাস্তার উপরেই বসে ব্যবসা করেন। হাটের দিনগুলিতে এই এলাকায় রাস্তার উপর দিয়ে কার্যত চলাচল করা যায় না।
সমস্যাটির কথা স্বীকার করেন বাগনান-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের কাজল গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “রাস্তার উপরে হাট বসার জন্য বেশ অসুবিধা হয়। কিন্তু প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দলগুলি এক সঙ্গে এগিয়ে না এলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।”
জেলা কংগ্রেস সভাপতি কাজি আব্দুল রেজ্জাক বলেন, “রাস্তায় হাট বসার জন্য যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এখানে সরকারি জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতি সেই জমিতে সরকারি উদ্যোগে হাট তৈরি করলে সমস্যার সমাধান হয়।” ভাঙা রাস্তা অবিলম্বে মেরামতির দাবি জানান তিনি। এ বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, “জেলার ভিজিল্যান্স এবং মনিটরিং কমিটির বৈঠকে এই রাস্তা মেরামতির কথা বলেছি।” জেলা পরিষদের আশ্বাস, টাকা এলেই মেরামতির কাজ শুরু করা হবে। |
|
|
|
|
|