‘কলেজিয়াম ম্যাগিকোস’ মনে পড়ে? হিমালয়ের গায়ে সেই জাদু বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে পড়েছেন জাদুকর ম্যানড্রেক।
কার্টুনের স্ট্রিপে নয়, বাস্তবে এ বার জাদুকর গড়ার কাজে হাত দিয়েছেন পি সি সরকার (জুনিয়র)। আগরতলার কাছে একটি পাহাড়ি জায়গায় ১০ একর জমির উপর একটি স্কুল গড়ছেন তিনি। ‘পি সি সরকার ফাউন্ডেশন ফর টোটাল এডুকেশন’-এর অধীনে তৈরি হওয়া এই স্কুলে মূল পাঠ্যবিষয়গুলির পাশাপাশি জোর দেওয়া হবে পাঠ্যের বাইরের বিষয়গুলিতেও। তার মধ্যে অবশ্যই গুরুত্ব পাবে জাদু।
তাই জাদুবিদ্যা শিখতে আগ্রহীদের সামনে খুলে যেতে চলেছে মায়ার দুনিয়া। যেখানে পড়ুয়ারা হাতে-কলমে শিখে নিতে পারবেন ইন্দ্রজালের খুঁটিনাটি। আর সেগুলি তাঁদের শেখাবেন স্বয়ং পি সি সরকার। তিনি বলেন, “আমি শেখাবো কী ভাবে স্টেজে দাঁড়াতে হয়। কী ভাবে কথা বলতে হয়। কী ভাবে ম্যাজিক দেখাতে হয়।”
|
নয়াদিল্লির এক স্কুলে খেলা দেখাচ্ছেন পি সি সরকার। —নিজস্ব চিত্র |
কেমন হবে সেই জাদুস্কুল? জাদুকর জানান, গোটা পরিবেশেই থাকবে ইন্দ্রজালের ছোঁয়া। পাহাড়ের গায়েই তৈরি হবে অডিটোরিয়াম, ক্লাস-রুম। কোনও সরকারি সাহায্য নিয়ে নয়, নিজের উদ্যোগেই তিনি গড়ে তুলতে চান ভবিষ্যতের জাদুকরদের। আর এই কাজে বাবার পাশে রয়েছেন বড় মেয়ে মানেকা সরকার। তাঁর কথায়, “প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ল্যান্ডস্কেপ-এই তৈরি হবে আমাদের স্কুল। একটি খাদের উপর তৈরি করা হবে অ্যাম্পিথিয়েটার। ফলে গ্যালারির জন্য আলাদা করে ঢাল তৈরি করতে হবে না। বিষয়টিও অভিনব হবে।”
প্রায় ন’বছর পর তাঁর ইন্দ্রজালের পসরা নিয়ে রাজধানীতে এসেছেন পি সি সরকার। বিনয় নগর বেঙ্গলি সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে টানা সাতদিন ধরে চলছে তাঁর ম্যাজিক শো। সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী জয়শ্রী এবং মানেকাও। তাঁদের শো করতে যাওয়ার কথা ছিল ফিলিপিন্স-এ। কিন্তু যাননি। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, “স্কুলের অনুষ্ঠান দেখে কেমন অভিভূত হয়ে গেলাম।” গোটা অনুষ্ঠানের মূল কর্ণধার তথা স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র উৎপল ঘোষ জানান, এই সময় দিল্লিতে কোনও প্রেক্ষাগৃহ খালি পাওয়া না গেলেও তিনি পিছিয়ে যাননি। বরং সব রকম সহযোগিতা করেছেন। স্কুলের খোলা মাঠেই মঞ্চ বানিয়ে চলছে ইন্দ্রজাল। দিল্লির নতুন প্রজন্ম এই প্রথম সুযোগ পাচ্ছে পি সি সরকারের খেলা দেখার।
এ বার তারা সুযোগ পাবে জাদু শেখারও। পি সি সরকারের স্কুল থেকেই বেরিয়ে আসবেন ভবিষ্যতের ‘হুডিনিরা’। |