টুকরো খবর |
‘হৃদয়স্পর্শী’ প্রস্তাব মমতার, চিঠি গোপালের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সৌজন্য’ তাঁর হৃদয় স্পর্শ করেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে সোমবার চিঠি পাঠিয়ে সেই ‘কৃতজ্ঞতা’ জানালেন রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধী।
মমতা চেয়েছিলেন, আসন্ন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গাঁধী অথবা প্রাক্তন সাংসদ তথা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভ্রাতুষ্পুত্রবধূ কৃষ্ণা বসুকে ইউপিএ-র প্রার্থী করা হোক। তৃণমূল নেতা তথা রেলমন্ত্রী মুকুল রায় শনিবার ইউপিএ-র বৈঠকে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে ওই দু’ জনের নাম প্রস্তাব করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উপরাষ্ট্রপতি পদে হামিদ আনসারি ইউপিএ প্রার্থী হিসাবে দ্বিতীয় বারের জন্য মনোনীত হন। গাঁধীও জানিয়ে দেন, তিনি উপরাষ্ট্রপতি ভোটে লড়তে চান না। তার পরেও এ দিন গাঁধী মমতাকে চিঠি পাঠিয়ে ওই ভোটে ইউপিএ প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম প্রস্তাব করার জন্য ‘ধন্যবাদ’ জানিয়েছেন। মমতা তাঁর ফেসবুক পেজে গাঁধীর চিঠিটি ‘আপলোড’ করেছেন।
গাঁধী ওই চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমার মতো এক জন অরাজনৈতিক মানুষের উপর আপনি ধারাবাহিক এবং দৃঢ় ভাবে যে আস্থা রেখেছেন, তা আমার হৃদয় স্পর্শ করেছে’। মমতার প্রস্তাবকে তিনি রাজ্যবাসীর ‘উজাড় করা ভালবাসা’ হিসাবে দেখছেন বলেও চিঠিতে জানিয়েছেন গাঁধী। তাঁর ভাষায়, ‘আমি একে (মমতার প্রস্তাবকে) আমার প্রতি পশ্চিমবঙ্গবাসীর উজাড় করা ভালবাসার প্রতিফলন বলে মনে করছি। এই ভালবাসা আমি কখনও ভুলতে পারব না’।
|
এয়ার ইন্ডিয়াকে ভর্ৎসনা
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
ধর্মঘটী ১০১ জন পাইলটকে পুনর্বহাল করার বিষয়টি নিয়ে ‘গড়িমসি’ করায় বিমানসংস্থা এয়ার ইন্ডিয়াকে ভর্ৎসনা করল দিল্লি হাইকোর্ট। বরখাস্ত হওয়া এই পাইলটদের ফের কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়টি এয়ার ইন্ডিয়া সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি তারা। তার জেরেই আজ এই মন্তব্য করে আদালত।এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে ললিত ভাসিন আজ আদালতকে জানান, প্রত্যেক পাইলটের কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়টি আলাদা ভাবে বিবেচনা করতে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করেছে পরিচালন পর্ষদ। এই কমিটির কাজ শেষ করতে তিন মাস সময় লাগবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি রেবা ক্ষেত্রপাল ভাসিনকে বলেন, কমিটি চার সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবে কি না তা আদালতকে জানাতে হবে। এর পরেই পাইলটদের ফের কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের ভূমিকার সমালোচনা করে বিচারপতি বলেন, “আপনারা আদালতকে জানিয়েছিলেন দ্রুত ব্যাপারটি মেটাবেন। কিন্তু এখন সেটা নিয়ে গড়িমসি করছেন। এটা মানা যায় না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে।” এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় আদালত অত্যন্ত হতাশ এবং ক্ষুব্ধ বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি।
|
কাশ্মীর রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রের ‘ভরসা’ বিজেপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
প্রধান বিরোধী দলের আপত্তিকে হাতিয়ার করে কাশ্মীর-রিপোর্টকে হিমঘরে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের ওই রিপোর্টের প্রতিবাদে আজ পথে নেমেছে বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবার। যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসেন বিজেপি নেতা সুষমা স্বরাজ এবং আর এস এস নেতা রাম মাধব। দুই নেতাই অবিলম্বে রিপোর্ট খারিজ করার দাবি জানিয়েছেন। তিন মধ্যস্থতাকারী দিলীপ পদগাঁওকর, রাধা কুমার এবং এম এম আনসারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে সম্প্রতি রিপোর্টটি জমা দেন। ওই রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএমও। আবার উৎসাহিত পাকিস্তান সরকার ওই রিপোর্টের সুপারিশ বাস্তবায়িত করতে কূটনৈতিক ভাবে চাপ বাড়িয়ে চলেছে কেন্দ্রের উপর। এর ফলে অস্বস্তিতে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ও। কারণ, ওই রিপোর্টে এমন কিছু সুপারিশ রয়েছে যা নিয়ে পাকিস্তানও কোনও দিন সরব হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলের আন্দোলনে সরকারের রাজনৈতিক ভাবে সুবিধা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধান বিরোধী দলের আপত্তিকে হাতিয়ার করে এখন ওই রিপোর্ট বাস্তবায়িত না করে বরং হিমঘরে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। আজ বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ অভিযোগ করেন, “রিপোর্টটি সংবিধান বিরোধী।” রাম মাধবের প্রশ্ন, মধ্যস্থতাকারীরা জঙ্গিদের মানবাধিকারের পক্ষে সওয়াল করেছেন, কিন্তু কাশ্মীরি পন্ডিতরা তাদের মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হওয়া সত্ত্বেও রিপোর্টে তার উল্লেখ নেই কেন?
|
গণহত্যা নিয়ে শীর্ষ আদালতে নীতীশরা
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বাথানিটোলা গণহত্যা মামলায় পটনা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বিহার সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেল। আজ সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের আবেদন গ্রহণ করেছে। নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত ২৩ জনকে হাইকোর্ট বেকসুর খালাস করে দেয়। হাইকোর্টের সেই রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানাল রাজ্য সরকার। ১৯৯৬ সালের ১১ জুলাই ভোজপুর জেলার বাথানিটোলায় ২১ দলিতকে হত্যা করা হয়। অভিযোগের আঙুল ছিল ভোজপুরে তখন সক্রিয় রণবীর সেনার দিকেই। নিম্ন আদালত এই মামলায় ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। দণ্ডিতরা পটনা হাইকোর্টে আবেদন করে। পটনা হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায়কে খারিজ করে দিয়ে ওই ২৩ জনকেই বেকসুর খালাস করে দেয়। হাইকোর্টের বক্তব্য ছিল, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যতাযথ প্রমাণ নেই। হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। আজ বিচারপতি আলতামাস কবীর ও বিচারপতি জে চেলমেশ্বরের ডিভিশন বেঞ্চ রজ্যে আবেদনটি গ্রহণ করে অভিযুক্ত ২৩ জনকেই নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
|
দম্পতির উপর ‘অত্যাচার’ পঞ্চায়েতের
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও ছাপিয়ে গেল লাতেহারের এক গ্রাম পঞ্চায়েত। ডাইনি অপবাদে এক দম্পতিকে তাদের মল-মূত্র খেতে বাধ্য করল ওই পঞ্চায়েতের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে লাতেহার জেলার পুরো গ্রামে। গ্রামে গরু-মোষ-ছাগলের পর পর মৃত্যু হচ্ছিল। গ্রামেরই এক দম্পতির বিরুদ্ধে ডাইনি অপবাদ দিয়ে গ্রামের লোকেদের একাংশ অভিযোগ করে, ওরাই গবাদি পশুর মৃত্যু ঘটাচ্ছে। এই অভিযোগে কয়েকদিন আগে রবার্ট লাকড়া (৬৫) ও তাঁর স্ত্রী কোলেস্টিনা লাকড়াকে (৬০) গ্রামের পঞ্চায়েতে টেনে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ওই বৃদ্ধ দম্পতি অস্বীকার করেন। এরপরেই পঞ্চায়েত মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের নিজেদের মল-মূত্র খেতে বাধ্য করে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরে পুলিশ দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করেছে। লাতেহারের পুলিশ সুপার ক্রান্তি কুমার জানিয়েছেন, “১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
|
রিনার আততায়ীদের ধরতে তৎপর পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
সাংবাদিকের উপরে আক্রমণের ঘটনার নিন্দা করে অপরাধীদের ধরার নির্দেশ দেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নাবাম টুকি। গত কাল রাতে ইটানগরে, দফতরে আসার পথেই আততায়ীরা অরুণাচল টাইম্সের সহকারী প্রধান সম্পাদক টংগাম রিনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাঁর কোমরের পিছনে গুলি লাগে। রিনার শিরদাঁড়া ও অন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাঁকে রামকৃষ্ণ মিশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত তিনি বিপদমুক্ত।
|
নাগরি-জট কাটল না
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
কোনও অবস্থাতেই নাগরির জমি সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হবে না। অধিগৃহীত জমির জট খুূলতে সরকার গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটিকে আজ এ কথা জানিয়ে দিয়েছে নাগরির ‘জমিন বাঁচাও’ সংঘর্ষ সমিতি। রাজস্ব ও ভূমিমন্ত্রী মথুরাপ্রসাদ মাহাতোর নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সঙ্গে আজ বিরসা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই সমিতির বৈঠক হয়। বৈঠকে অধিগৃহীত জমি কৃষকদের ফিরিয়ে দেওয়া-সহ পাঁচ দফা দাবি অবিলম্বে কার্যকর করার প্রস্তাব দিয়েছে সমিতি। সমস্যা বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন মাহাতো।
|
ব্যবসায়ী অপহৃত, মুক্তিপণ দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
ঝাড়খণ্ডের চাতরা জেলার এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করল দুষ্কৃতীরা। অপহৃত ব্যবসায়ীর মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে আজ ভোর থেকে বার কয়েক ফোন এসেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ফোনের নম্বর ধরে অপহরণকারীদের ধরার চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। চাতরা জেলার এসপি অনুপ বার্থারে বলেন, “চাতরা জেলার জোগিয়ারা গ্রামের এই অপহৃত ব্যবসায়ীর নাম আশিস সাউ।”
|
বিস্ফোরক-বোঝাই গাড়ি আটক, ধৃত ১
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
বিস্ফোরক তৈরির উপকরণ-সহ একটি গাড়ি আজ সকালে ধরা পড়েছে সরাইকেলা খরসওঁয়া জেলার চাণ্ডিলে। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই গাড়ির আরোহী, মনোজ সিংহ নামে এক যুবককে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই গাড়িতে পাওয়া গিয়েছে ৫০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং বেশ কিছু ডিটোনেটর। গাড়িটি জামশেদপুর থেকে আসছিল। গন্তব্য ছিল, রাঁচির কাছে নামকুম।
|
কৃষি নিয়ে শরদ
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
বর্ষাকাল চললেও স্বাভাবিকের চেয়ে ২৩% বৃষ্টি কম হওয়ার জন্য খরিফ শস্য বোনার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে মার খাচ্ছে জোয়ার-বাজরা চাষের কাজ। আজ দিল্লিতে এই কথা বলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শরদ পওয়ার। তিনি জানান, দেশে খরার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, তবে তা মোকাবিলার জন্য তৈরি সরকার।
|
উদ্ধব অসুস্থ শুনে হাসপাতালে রাজ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুম্বই |
উদ্ধব ঠাকরে অসুস্থ। রাস্তায় সেই খবর পেয়েই ভাইকে দেখতে সটান হাসপাতালে চলে এলেন রাজ ঠাকরে। শুধু তাই নয়, বিকেলে চিকিৎসকদের সম্মতি নিয়ে হাসপাতাল থেকে নিজেই গাড়ি চালিয়ে তাঁকে পৌঁছে দিলেন বাড়িতে। সোমবার এমনই ‘বিরল’ দৃশ্যের সাক্ষী রইল মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল। ২০০৬ সালে রাজনৈতিক বিভাজনের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মুখোমুখি হলেন দুই ভাই। বুকে ব্যথা হওয়ায় এ দিন সকালে উদ্ধব হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর অ্যাঞ্জিওগ্রাফি হয়েছে। সকালেই তাঁকে দেখে যান রাজ।
|
সুপ্রিম কোর্টে নীতীশ
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বাথানিটোলা গণহত্যা মামলায় পটনা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বিহার সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেল। আজ সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের আবেদন গ্রহণ করেছে। নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত ২৩ জনকে হাইকোর্ট বেকসুর খালাস করে দেয়। সেই রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানাল রাজ্য। ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনটি গ্রহণ করে অভিযুক্ত ২৩ জনকেই নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। |
|