ভাগীরথীর বাঁধ বাঁচাতে দাঁইহাটে কাজ শুরু করল সেচ দফতর। প্রায় ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে চৌধুরীপাড়া থেকে সাহাপুর পর্যন্ত বাঁধের ৭৫০ মিটার অংশ সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। দাঁইহাট পুর-প্রধান কংগ্রেসের সন্তোষ দাস বর্ষা নামার আগেই বাঁধটির সংরক্ষণের জন্য চিঠি দেন সেচ দফতরকে। কাটোয়ার কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ও রাজ্যের সেচমন্ত্রী তথা দলীয় নেতা মানস ভুঁইঞাকে ওই বাঁধটির কথা জানান। এর পরেই সেচ দফতর বাঁধ সংস্কারের জন্য টাকা অনুমোদন করেন।
সেচ দফতর সূত্রে খবর, বাঁধটির ওই নির্দিষ্ট ৭৫০ মিটার অংশে ভাগীরথীর উপর গাছের গুঁড়ি দিয়ে ২৩টি খাঁচা তৈরি করা হবে। তার ভিতর নাইলনের জাল দিয়ে বোল্ডার দিয়ে ভর্তি করা হবে। বাঁধের গায়েও বোল্ডার ফেলতে হবে। দামোদর ক্যানেল ডিভিশনের কাটোয়ার সহকারী বাস্তুকার প্রদীপকুমার দাস বলেন, “প্রথমে বাঁধের গায়ে জলের ধাক্কা আটকানো হবে। তার পর বাঁধের গায়ে চর তৈরি করা হবে।” সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ৭৫০ মিটার এলাকায় নতুন করে ‘রিং বাঁধ’ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেচ দফতরের প্রধান ইঞ্জিনিয়রের কাছে তা অনুমোদনের জন্য পাঠানোও হয়েছে। |
বছর দুয়েক আগেও দাঁইহাটের ওই বাঁধটি প্রায় কোটি টাকা খরচ করে বাঁধটি সংস্কার করেছিল সেচ দফতর। কিন্তু বছর ঘোরার আগেই সেটি ভাঙতে শুরু করে। সেচ দফতরের দামোদর ক্যানেল ডিভিশন বাঁশের খাঁচার ভিতর বোল্ডার ফেলে বাঁধটি বাঁচানোর চেষ্টা করে।
সেচ দফতর জানায়, ২০০৯ সালে বাঁধটির সংস্কার শুরু করে তারা। ২০১০ সালে জমি অধিগ্রহণ করে বাঁধটি ৫ মিটার চওড়া ও ১২ মিটার উঁচু করা হয়। কিন্তু গত বছর থেকে পাড় তলিয়ে যেতে শুরু করলে বোল্ডারটিও তলিয়ে যেতে থাকে। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন চরসাহাপুর ও দাঁইহাটের বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দা ভিখারি মণ্ডল, সনৎ চৌধুরীরা বলেন, “প্রতি বছরই বাঁধটি সংরক্ষণের কাজ চলছে। কিন্তু ভাগীরথীর কাছে বারবার হার মানতে হচ্ছে সেচ দফতরকে।”
সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বর্ষাতেই ভাগীরথীর জল বাড়লে দাঁইহাটের ওই বাঁধটি বিপন্ন হয়ে পড়ে। বাঁধটি তলিয়ে গেলে দাঁইহাট-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায় চলে যেতে পারে। |