কর্মীদের আটকে রেখে, মারধর করে কারখানার মালপত্র ট্রাকে চাপিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বুদবুদ থানার দেবশালা পঞ্চায়েতের কাঁকোড়া গ্রামের একটি বেসরকারি কারখানায়। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে কারখানাটি চালু হয়। মূলত ধাতব চুল্লি, বিভিন্ন ধাতব যন্ত্রপাতি তৈরি হত ওই কারখানায়। রবিবার রাতে কারখানায় ২৬ জন কর্মী ছিলেন। গভীর রাতে হঠাৎ একটি ট্রাক থামার শব্দে কয়েক জন কর্মীর ঘুম ভাঙলেও তাঁরা ভেবেছিলেন, কারখানারই ট্রাক এসেছে। কিন্তু হঠাৎই আক্রমণ শুরু করে প্রায় ৩০ জনের এক দুষ্কৃতী দল। প্রথমে কারখানার গেটে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করে ভিতরে ঢোকে। কারখানার কর্মীদের তারা জানায়, ডাকাতি করতেই এসেছে তারা। কেউ যেন বাধা না দেয়। তার পরেও জনা পাঁচেক কর্মী বাধা দিতে গেলে রড দিয়ে আঘাত করা হয় তাঁদের। কর্মীরা যাতে পুলিশকে ফোন করতে না পারেন সে ব্যাপারেও সতর্ক পাহারায় ছিল জনা কয়েক দুষ্কৃতী। |
কর্মীদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা প্রথমে কারখানায় তৈরি সামগ্রী এক এক করে ট্রাকে তোলে। কারখানার বেশ কিছু যন্ত্রাংশও তুলে নিয়ে যায় তারা। সঙ্গে করে নিয়ে যায় কর্মীদের মোবাইল গুলিও। সকালে আশপাশের বাসিন্দারা বিষয়টি জানতে পেরে জখম কর্মীদের উদ্ধার করে পাঠান। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে অনেককেই ছেড়ে দেওয়া হয়। কারখানার কর্মী তুলসী শর্মা, কুলু রুইদাসদের কথায়, “সে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা! কী ভাবে যে রাতটা কাটল সে আমরাই জানি।”
কারখানার ডিজিএম রমেশ উপাধ্যায় বলেন, “এর আগেও এক বার ছোটখাটো ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু এ বার যা হল, তা বলার নয়। কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বার বার এমন হলে কারখানা চালাব কী করে?” তিনি অভিযোগ করেন, বরাত পেয়ে সামগ্রী তৈরি করেছিলেন। ডাকাতের দল সে সব নিয়ে চলে যাওয়ায় সময়ে সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে না। তাছাড়া এক বার এই খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিযোগিতার বাজারে তাঁদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলেও দাবি করেন রমেশবাবু।
জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। |