লোহা চুরির ‘স্বর্গরাজ্য’ হতে চলেছে কুলটির চিনাকুড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র— এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠালেন আসানসোলের সিপিএম সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী। এর আগেও বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীকেও চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানান তিনি।
রানিগঞ্জ কয়লা ভবনে সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে বংশবাবু জানান, ২১ জুলাইয়ের মধ্যে চিনাকুড়ি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩৫০ জন কর্মীকে স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার আবেদনপত্র জমা দিতে বলেছে ডিপিএসসি কর্তৃপক্ষ। ওই কর্মীদের মধ্যে ২০০ জনই ঠিকা শ্রমিক। সেক্ষেত্রে স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার পর ওই ঠিকা শ্রমিকরা কী অনুদান পাবেন, তা নিয়েও এ দিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
বংশবাবু জানান, লিজের ভিত্তিতে চিনাকুড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালায় ইসিএল। গত মার্চে লিজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ইসিএল পূর্বতন সংস্থার আধিকারিক হেমন্ত কানোরিয়াকে জানিয়েছে, তাদের কাছে সংস্থার ৩৯ কোটি টাকা বকেয়া থাকায় ওই সংস্থা নতুন করে দরপত্র ডাকাতে অংশ নিতে পারবে না। বংশবাবু জানান, আইএনটিটিইউসি-সহ ৭টি সংগঠনকে নিয়ে জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি গঠন হয়েছে। তাঁর দাবি, “এপ্রিল থেকেই আইএনটিটিইউসি রাজ্য সরকারের সহায়তায় কারখানাটি বাঁচাবে বলে দাবি করে আসছে। যদিও কার্যক্ষেত্রে কোনও কাজই হয়নি।” বংশবাবু জানান, ৩ সপ্তাহ আগে জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি ইসিএলের সিএমডি রাজেশ সিংহের সঙ্গে দেখা করে। সিএমডি তাঁদের জানান, আগামী ২৪ জুলাই ইসিএলের পরিচালন সমিতির বৈঠক আছে। তার পরেই দরপত্র ডেকে কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বংশবাবুর অভিযোগ, “রাজ্য সরকারের অবিলম্বে কারখানাটি চালু করায় সদর্থক ভূমিকা নেওয়া উচিত। কারণ দরপত্র চুড়ান্ত হতে হতে আরও কয়েক মাস কেটে যাবে। কর্মী না থাকায় সংস্থার হাল রক্ষীবিহীন এমএএমসি-র মতো হবে।” |