|
|
|
|
দু’টি দেহ উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মগরাহাট |
ক্ষতবিক্ষত দু’টি দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার সকালে মগরাহাটের উত্তর জালঘরা গ্রামের কাছে মাঠে দেহ দু’টি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় মানুষ। পুলিশ জানায়, নিহতদের নাম বসির খাঁ (৩২) ও পচা গাজি (১৬)। বাড়ি উস্থির উত্তর বামনা গ্রামের খাঁ পাড়া ও গাজিপাড়ায়। দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, “ওই দু’জনের বিরুদ্ধেই অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ আছে। দুষ্কৃতীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই এই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে মনে করা হচ্ছে।” পচার আত্মীয়-প্রতিবেশীরা অবশ্য সে কথা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, এলাকায় ‘ভাল ছেলে’ হিসেবেই পরিচিত ছিল পচা। জরির কাজ করত। তার মা অহিতুন বিবি বলেন, “প্রতিদিনের মতোই শনিবার জরির কাজ করতে বেরিয়েছিল। রাতে ফেরেনি। সকালে ঘটনার খবর পেলাম।” কে বা কারা পচাকে কী উদ্দেশ্যে খুন করে থাকতে পারেন, তা নিয়ে অবশ্য ছেলেটির পরিবার বা প্রতিবেশীরা কিছু জানাতে পারেননি। পচার নামে পুলিশের খাতাতেও কোনও অভিযোগ নেই। তবে পুলিশের দাবি, ইদানীং সমাজবিরোধীদের সঙ্গে ওঠাবসা শুরু করেছিল ওই কিশোর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল বসির। সে সময়ে সঙ্গে ছিল আত্মীয় পচা। দু’জনেই রাতে বাড়ি ফেরেনি। রবিবার সকালে গ্রাম থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে জালঘরা গ্রামের মাঠে তাদের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় মানুষ। ধারাল অস্ত্রের আঘাত ছিল দু’জনের দেহেই।
বসিরের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল প্রতিবেশী-আত্মীয়দের ভিড়। বসিরের স্ত্রী হরিসা দুই সন্তানকে আঁকড়ে বসে কাঁদছেন। জানালেন, শনিবার বিকেলে স্বামীর মোবাইলে ফোন আসে। উত্তরবাহিরপুরা স্টেশনের কাছে এক বন্ধু ডেকে পাঠিয়েছে বলে বাড়ি থেকে বেরোন বসির। তাঁর ভাই গিয়াসুদ্দিন খাঁ পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। |
|
|
|
|
|