|
|
|
|
দাসপুরে নিষ্ক্রিয় পুলিশ |
বৃদ্ধাকে অ্যাসিড, অভিযুক্তেরা অধরাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
বৃদ্ধাকে অ্যাসিড ছুড়ে খুনের চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্তদের আড়াল করার অভিযোগ উঠল দাসপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে।
প্রায় দু’মাস আগে দাসপুর থানার গৌরা পঞ্চায়েতের সীতাপুর গ্রামের বৃদ্ধা ঝর্না মাইতিকে অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগ ওঠে গ্রামেরই সুকুমার আদক ও তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা আদকের বিরুদ্ধে। কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ওই বৃদ্ধা এখনও চিকিৎসাধীন। কিন্তু অভিযুক্তরা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অভিযোগ, তাঁদের গ্রেফতার করার জন্য থানায় দরবার করতে গিয়ে অপমানিত হতে হয়েছে বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যদের। থানা থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। বিচার চেয়ে ওই পরিবার তাই পুলিশের উচ্চমহল থেকে শুরু করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি পাঠাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি পুকুর পাড়ের দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদ দুই পরিবারের। ঝর্নাদেবীর বৌমা মালতী মাইতির অভিযোগ, “গত ২১ মে সকাল ৮টায় এক বোতল অ্যাসিড নিয়ে আচমকাই বাড়িতে ঢুকে পড়ে শাশুড়ির দিকে অ্যাসিড ছুড়তে শুরু করে সুকুমার ও তার স্ত্রী। শাশুড়ি তখন আমার তিন বছরের ছেলেকে কোলে নিয়ে চা খাচ্ছিলেন। ছেলের পায়েও অ্যাসিড লাগে। শাশুড়ি যন্ত্রণায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে চিৎকার শুরু করলে গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। তখন ওরা পালিয়ে যায়।” ঠাকুমা-নাতিকে দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে নাতির উন্নতি হলেও ঝর্নাদেবীর অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। তাঁকে ঘাটাল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না-হওয়ায় পাঠানো হয় কলকাতায়। ঝর্নাাদেবীর ছেলে গোপাল মাইতি বলেন, “কলকাতায় আমার মা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। অথচ, এতদিন পরেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। ঘাটাল আদালতের আইনজীবী তপন রায় বিষয়টি জেনে আমাকে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে নিয়ে যান। ওঁদের নির্দেশে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছে। কিন্তু ধরা পড়েনি কেউ।” এ প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিএসপি (ক্রাইম) দেবজ্যোতি চক্রবর্তী বলেন, “অভিযোগকারীরা আমার কাছে এসেছিলেন। থানায় দেওয়া প্রতিলিপি পড়ে জানতে পারি খুনের চেষ্টার ধারাও দেয়নি ওখানের পুলিশ। খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করে দু’দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের ধরার নির্দেশ দিয়েছিলাম। তারপরেও কেউ ধরা পড়ল না কেন জানতে চাইব ওসি-র কাছে।” দাসপুরের ওসি অভিজিৎ বিশ্বাস অভিযোগকারীদের অপমান করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “অভিযুক্তরা পলাতক। তাই গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।”
রক্তদান শিবির। রবিবার ঘাটাল শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে একটি রক্তদান শিবির হল সৎসঙ্গ স্কুলে। এ দিনের শিবিরে ১২ জন মহিলা-সহ ১৩৯ জন রক্ত দেন। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক শঙ্কর দোলই, অজিত দে, দিলীপ মাঝি, অরণ মণ্ডল, অলোক দে প্রমুখ। |
|
|
|
|
|