|
|
|
|
আজ মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে বৈঠক জেলাশাসকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রয়োজনীয় কৃষিদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আজ, সোমবার মেদিনীপুরে বৈঠক হবে। জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্তর নির্দেশে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। এই সংক্রান্ত নির্দেশ পৌঁছেছে জেলা কৃষি বিপণন আধিকারিক ব্রজেন সরকার -সহ অন্য আধিকারিকদের কাছে। বৈঠকে থাকবেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ভেন্ডার অ্যাসোসিয়েশন, ফোরাম অফ ট্রেডার্স অর্গানাইজেশন, কোল্ড স্টোরেজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা। সোমবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলাশাসকের (সাধারণ ) রজত কুমার সাইনি -র দফতরে এই বৈঠক হবে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “খোলাবাজারে কৃষিজাত দ্রব্যের দাম বেঁধে রাখতে কী কী পদক্ষেপ করা জরুরি, তা নিয়ে আলোচনা করতেই বৈঠক ডাকা হয়েছে।” পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন বাজারে যে সব্জি পাওয়া যায়, তার অধিকাংশই জেলায় উৎপাদিত। গড়বেতা, ঘাটাল, দাসপুর থেকে মেদিনীপুর -খড়্গপুর -ঝাড়গ্রামের বাজারে সব্জি আসে। পাশের জেলা পূর্ব মেদিনীপুর থেকেও কিছু সব্জি আসে। ফলে খোলাবাজারে সব্জির দাম তেমন বেশি বাড়ে না। তবে সপ্তাহ খানেক আগে খুচরো বাজারে পটল, বেগুন, লঙ্কা, লাউয়ের দাম বেড়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, ফড়েদের দাপটেই এই পরিস্থিতি। পাইকারি বাজারে যে দামে সব্জি বিক্রি হয়েছে, খুচরো বাজারে তা কেজি প্রতি ২০ -২৫ টাকা বেশি হয়ে গিয়েছে। ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, দাসপুর, কেশপুর, সবং, পিংলা, ডেবরায় কুঁদরি, লাউ, ঝিঙে, পটল, বেগুন প্রভৃতি সব্জি চাষ হয়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গরমের জন্য সব্জি উৎপাদনে সমস্যা হয়েছে। ফলন কম হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির এটাও কারণ। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী। নজরদারি বাড়াতে বলেন। দাম না কমলে ফড়েদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও বার্তা দেন। জেলায় জেলায় তৈরি হয় টাস্ক ফোর্স। কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিকেরা বাজার পরিদর্শন শুরু করেন। সব্জির দাম কিছুটা কমে। সাধারণ মানুষের বক্তব্য, নিয়মিত নজরদারি চললে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আচমকা অনেকটা বাড়বে না। ফড়েরাও ‘চাপে’ থাকবেন। এই পরিস্থিতিতে আজকের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|