সোনাজয়ী অ্যাথলিট পিঙ্কি প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, প্রতারণা-সহ বিভিন্ন অভিযোগ করা হয়েছিল বাগুইআটি থানায়। এ বার সেই থানাতেই পিঙ্কি অভিযোগ করলেন, তিনি যখন জেলে ছিলেন, তখন তাঁর বাড়ি থেকে পদক এবং অন্য বেশ কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি গিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রবিবার ওই অভিযোগের সঙ্গেই তিনি পুলিশকে জানান, জেল থেকে বেরোনোর পরে ফোনে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করার আবেদনও জানান ওই ক্রীড়াবিদ।
পিঙ্কির অভিযোগ প্রসঙ্গে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার এ দিন বলেন, “ওঁর সব ক’টি অভিযোগই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গত ১৪ জুন অনামিকা আচার্য নামে এক মহিলা পিঙ্কির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছিলেন। তার পরেই পিঙ্কিকে গ্রেফতার করা হয়। ২৫ দিন জেল-হাজতে থাকার পরে গত মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পান তিনি। ওই অ্যাথলিটের অভিযোগ, জেলে থাকার সময় তাঁর বাড়ির চাবি অনামিকার কাছেই ছিল। অনামিকাই তাঁর বাড়ি থেকে জিনিসপত্র সরিয়েছেন বলে পিঙ্কির অভিযোগ। |
কী কী জিনিস খোয়া গিয়েছে?
পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে বাইরে এসে পিঙ্কি বলেন, “আমার জাতীয় স্তরের কিছু পদক পাচ্ছি না। সেই সঙ্গে আমার সোনার হার এবং ব্রেসলেট-সহ কিছু গয়না খোয়া গিয়েছে। খোয়া গিয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ কিছু মূল্যবান নথিও।” জাতীয় স্তরের কিছু পদক বেপাত্তা হয়ে গেলেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পাওয়া পদকগুলি তাঁর পুরুলিয়ার বাড়িতে রয়েছে বলে পিঙ্কি জানান।
পিঙ্কি এ দিন তাঁর বিরুদ্ধে চুরির যে-অভিযোগ এনেছেন, তা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন অনামিকা। তিনি বলেন, “পিঙ্কির অভিযোগ মিথ্যা।” অনামিকার পাল্টা দাবি, “খাট, আলমারি-সহ আমার বেশ কিছু দামি আসবাবপত্র ওর (পিঙ্কির) বাড়িতে রয়েছে। সেগুলো আমাকে ফেরত দেওয়া হোক।”
চুরি ও ফোনে হুমকির অভিযোগ জানাতে এ দিন বেলা সওয়া ৩টে নাগাদ বাগুইআটি থানায় হাজির হন পিঙ্কি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা দুর্গাচরণ প্রামাণিক এবং আইনজীবী মাধব সান্যাল। থানা থেকে বেরিয়ে পিঙ্কি জানান, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের সঙ্গে দেখা করে গোটা বিষয়টি জানাতে চান। কিন্তু জামিনের শর্ত অনুযায়ী আপাতত তাঁর পক্ষে উত্তর ২৪ পরগনার জেলার বাইরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই তিনি মহাকরণে যেতে পারেছেন না বলে পিঙ্কি জানান। তবে তিনি বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে উদ্গ্রীব।” |