শিলিগুড়ি শহর প্লাস্টিকের ক্যরিব্যাগ মুক্ত রাখতে হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন (ন্যাফ) এবং পুরসভার যৌথ উদ্যোগে প্রচার অভিযান চলছে। রবিবার শিলিগুড়ির শান্তিনগর বাজার, ঘোঘোমালি বাজারে অভিযান হয়। উভয় বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির তরফে প্ল্যাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মুক্ত রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে কয়েকজন হাতে গোনা ব্যবসায়ী যে এখনও জবরদস্তি ব্যবহারের চেষ্টা করছেন তা বন্ধ করতে মাছ, মাংস এবং সব্জি বাজারে প্রচার চালান হয়। ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, “শহরকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মুক্ত রাখতে আমরা লাগাতার অভিযান চালাচ্ছি। পুরসভাও উদ্যোগী। হাতে গোনা কয়েকজন যাঁরা এখনও ব্যবহার করছেন তাঁদের সচেতন করাই মূল উদ্দেশ্য।”
এ দিন অভিযানের সময় ন্যাফের সদস্যরা শান্তিনগর বাজারে মাংসের দোকানগুলিতে গেলে ব্যবসায়ীরা জানান তাঁরা প্ল্যাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বর্জন করেছেন। কাগজে মুড়ে কাপড়ের ক্যারিব্যাগে মাংস ক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে বলে জানান গৌতম বারুই, সঞ্জীব ঘোষদের মতো ব্যবসায়ীরা। মাছ বিক্রেতা তাপস দাস প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ক্রেতার হাতে তুলে দিচ্ছেন দেখে অনিমেষবাবুরা তাঁকে নিষেধ করেন। নিজের ভুল বুঝতে পেরে আর প্ল্যাস্টিকের ক্যারিব্যাগ দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেন। ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গণেশ দাসও তাকে সতর্ক করেন। পথ নাটকের শেষে গণেশবাবু বলেন, “ব্যবসায়ী ক্রেতাদের বারবার সচেতন করা হচ্ছে। এর পর পুরসভা ফাইন করলে বা আইনি ব্যবস্থা নিলে আমাদের কিছু বলার থাকবে না। ব্যবসায়ীদের তা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” তবে বাজারের অধিকাংশই প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বর্জন করেছেন বলে তিনি দাবি করেন। পুরসভার উদ্যোগে বাসিন্দাদের সচেতন করতে এ দিন দুটি বাজারেই শক্তিগড় শৈলেন্দ্র স্মৃতি পাঠাগার এবং ক্লাবের তরফে পথ নাটক হয়। ঘোঘোমালি বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুভাষ সাহা ব্যবসায়ীদের সকলকেই প্ল্যাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বর্জন করতে বলেন। শহরকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মুক্ত রাখতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এ দিন আশিঘর মোড়ে এক মাংস বিক্রেতার কাছ থেকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ উদ্ধার করেন ন্যাফের সদস্যরা। ওই ব্যবসায়ী মহম্মদ ওয়াকিল নিজের ভুল স্বীকার করেন। |