|
|
|
|
সাংসদের দেহরক্ষীকে মারধর, আঙুল তৃণমূলের দিকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধনেখালি |
বৈঠক চলাকালীন সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাদের হাতে প্রহৃত হন সাংসদের দেহরক্ষী এবং এক সিপিএম কর্মী। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির ধনেখালি থানার ভাণ্ডারহাটিতে। অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
কয়েক দিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে সিপিএমের কার্যালয়ে হানা দিয়ে বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লার উপরেও হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, “হামলাকারীদের ধরার দাবি জানিয়েছি পুলিশের কাছে। আগামী ১৮ জুলাই জেলা জুড়ে ধিক্কার সভা হবে এই ঘটনার প্রতিবাদে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে এ দিন বিকেলে সিপিএমের ভাণ্ডারহাটি ৩ নম্বর লোকাল কমিটির কার্যালয়ে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন সিপিএমের নেতারা। ছিলেন আরামবাগের সাংসদ শক্তিমোহন মালিক, প্রাক্তন সাংসদ রূপচাঁদ পাল, তারকেশ্বর জোনাল কমিটির সম্পাদক স্নেহাশিস রায়। অভিযোগ, বিকেল ৫টা নাগাদ তৃণমূলের জনা পনেরো কর্মী-সমর্থক সেখানে হানা দিয়ে রূপচাঁদবাবুর হাতে থাকা মাইক্রোফোনের তার ছিঁড়ে দেয়। সিপিএম কর্মীদের মারধর শুরু করে তারা। প্রশান্ত ভাণ্ডারী নামে এক সিপিএম কর্মী আহত হন। বাধা দিতে গিয়ে প্রহৃত হন শক্তিমোহনবাবুর দেহরক্ষী কল্যাণ সরকার। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ আসার আগেই অবশ্য হামলাকারীরা চম্পট দেয়।
রূপচাঁদবাবুর অভিযোগ, ‘‘হামলাকারীরা বলতে থাকে পাশে তাদের কর্মিসভা হচ্ছে। এখানে অন্য মিটিং করা যাবে না’। তারপরেই মারধর শুরু করে। আমাকে ধাক্কাধাক্কি করে।” তাঁর অভিযোগ, “পুলিশ অনেক দেরি করে এল।” জেলা পুলিশের এক কর্তা অবশ্য দেরি করে পৌঁছনোর অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন, “উনি এক জন প্রবীন নেতা। ধনেখালি থানা থেকে ভাণ্ডারহাটি পৌঁছতে কত সময় লাগে, উনি তা নিশ্চয়ই জানেন। পুলিশ সময় মতোই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। পুলিশের কাছে ওঁরা মৌখিক অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের কতটা সারবত্তা আছে পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।”
ধনেখালির বিধায়ক, তৃণমূল নেত্রী অসীমা পাত্রের দাবি, “সিপিএম মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমাদের কেউ ওদের পার্টি অফিসে যায়নি। ওরা ঘটনা তৈরি করে আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে চাইছে।” |
|
|
|
|
|