|
|
|
|
হাওড়া ‘জতুগৃহ’, মেয়র ঠান্ডাঘরেই বসে, তোপ মন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দুপুর ১২টায় বাঁকড়া-বটতলায় কাপড়ের তেতলা গুদামে আগুন তো সন্ধ্যায় আগুন গঙ্গাপাড়ে রামকৃষ্ণপুরঘাটে বহুজাতিক বস্ত্র সংস্থার বিশাল গুদামে। দু’টোই শুক্রবারের ঘটনা। এ ছাড়াও হাওড়ায় অগ্নিকাণ্ড লেগেই আছে। কলকাতার যমজ শহর হাওড়ায় একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের জন্য সিপিএম পরিচালিত পুরসভাকেই কাঠগড়ায় তুললেন দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান।
ওই শহরে বেআইনি নির্মাণের জেরেই পরপর আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। হাওড়ার সিপিএম মেয়র মমতা জয়সোয়ালের সমালোচনা করে জাভেদ বলেন, “একের পর এক বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে।
|
জাভেদ খান |
উনি (মমতাদেবী) কিছুই জানেন না বলে দাবি করছেন। আসলে তিনি কোনও কাজই করেন না। ওই সব বেআইনি নির্মাণের জন্যই আগুন লাগছে।” প্রকারান্তরে বেআইনি নির্মাণের বিষয়টি অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন বামফ্রন্ট পরিচালিত পুরবোর্ডের মেয়র মমতাদেবীও। সেই সঙ্গে বলেছেন, “সরাসরি না-শুনে মন্ত্রীর উক্তির বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করব না। তবে বেআইনি নির্মাণ কাদের মদতে হচ্ছে, সেটা তো উনিই (দমকলমন্ত্রী) ভাল বলতে পারেন!”
রবিবার দুপুরে লিলুয়ায় একটি বস্ত্রবিপণির শো-রুমের উদ্বোধন করতে যান দমকলমন্ত্রী জাভেদ। হাওড়া শহর ‘জতুগৃহ’ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করে সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই মেয়রের সমালোচনা করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, “হাওড়ায় সবই বেআইনি। মেয়র শুধু ঠান্ডাঘরে বসে থাকেন। রাস্তায় বেরোন না।” তিনি জানান, হাওড়ায় অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। কোনও ব্যবসা শুরুর আগে নিরাপত্তার কী কী ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, তা-ও বোঝানো হচ্ছে তাঁদের। আলোচনা চলছে ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির সঙ্গে। আগুনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে হাওড়া পুরসভাকে। শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন কলকারখানায় অভিযান চালিয়ে দমকলের ছাড়পত্র, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রয়েছে কি না, তা দেখা হচ্ছে বলেও জানান দমকলমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যাঁদের কাছে সে-সব নেই, তাঁদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তা না-হলে আইনি পথে ব্যবস্থা নেবে সরকার।” মন্ত্রী জানান, হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাট সংলগ্ন বস্ত্রবিপণির অগ্নিদগ্ধ গুদামে ফরেন্সিক পরীক্ষা হয়েছে। দমকলও তদন্ত করেছে। সব রিপোর্ট পাওয়ার পরেই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
অগ্নিকাণ্ডের মোকাবিলায় সরকার কী করছে, তারও বিবরণ দেন জাভেদ। তিনি জানান, চলতি বছরে ডানকুনি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ১৫টি নতুন দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। ঠিকমতো জায়গা পাওয়া গেলে পাঁচ বছরের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকেই একটি করে দমকল কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। মন্ত্রী বলেন, “হাওড়ায় দমকলের কোনও জলাধার নেই। এখানে জলের সমস্যা রয়েছে। দমকল নিজেরাই গভীর নলকূপ খুঁড়ে জলাধারে জলের সমস্যা মেটাতে পারে।” সেই সঙ্গেই হাওড়ায় খোলা পাতকুয়োর বিষয়ে পুরসভা এবং পঞ্চায়েতকে তৎপর হওয়ার পরামর্শ দেন দমকলমন্ত্রী। |
|
|
|
|
|