|
|
|
|
সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে জখম ১০ গোঘাটের গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট |
খেতমজুরদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি সংক্রান্ত পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকে সিপিএম ও তৃণমূলের মিছিল, পাল্টা মিছিল এবং সংঘর্ষে তেতে ওঠে গোঘাটের আগাই গ্রাম। জখম হন ১০ জন। তাঁদের স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। দু’পক্ষই থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। গ্রামে পুলিশের টহলদারি চলছে। অভিযুক্তদের ধরা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত শনিবার সকালে। সে দিন সিপিএমের কৃষকসভার পক্ষ থেকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং খেতমজুরদের মজুরি বৃদ্ধি-সহ বেশ কিছু দাবিতে জেলা কৃষকসভার পক্ষ থেকে আগাই গ্রামে পোস্টার সাঁটানো হয়। কিছু দলীয় পতাকাও টাঙায় সিপিএম। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা কিছু পোস্টার ছিঁড়ে দেয় এবং সিপিএমের কিছু দলীয় পতাকা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সিপিএম সমর্থক কিছু দিনমজুরের বাধায় সেই সময়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা পিছু হঠে। রাতে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা ওই গ্রামের বাসিন্দা তথা সিপিএমের গোঘাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মহানন্দ ঘোষের বাড়ি এবং গোয়ালঘর ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও, আরও এক সিপিএম কর্মীর বাড়িতে হামলা হয়। রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় গোলমাল। দু’পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে ইট, লাঠি নিয়ে চড়াও হয়। হয় মিছিলও।
সিপিএমের গোঘাট জোনাল কমিটির সম্পাদক অরুণ পাত্র বলেন, “দিনমজুররা তাঁদের অধিকার দাবি করে পোস্টার সাঁটায়। তাঁদের উপরে হামলা করল তৃণমূল। পোস্টার সাঁটায় উৎসাহিত করেছেন, এই অভিযোগ তুলে ঘর ভাঙচুর করা হল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির। মানুষ এ সবের বিচার করবেন।”
পক্ষান্তরে, সংশ্লিষ্ট কুমারগঞ্জ পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা চঞ্চল রায় বলেন, “পোস্টার সাঁটার নামে সিপিএম প্রভাব বিস্তার করে ফের এলাকা সন্ত্রস্ত করে তুলতে চাইছিল। আমাদের সমর্থক গ্রামবাসীরা তার প্রতিবাদ করেছেন।” |
|
|
|
|
|