গুড়াপ-কাণ্ড
আটক ডাক্তারের হস্তাক্ষর যাচাই করবে সিআইডি
গুড়াপের হোম-কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি।
গত বুধবার গুড়াপের ‘দুলাল স্মৃতি সংসদ’ নামে বেসরকারি ওই হোমের পাঁচিলের পাশের একটি পুকুরের ধারের মাটি খুঁড়ে গুড়িয়া নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন আবাসিক মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গুড়িয়ার মৃত্যুরহস্য নিয়ে হুগলি জেলা পুলিশই তদন্ত করছিল। হোমের সম্পাদক উদয়চাঁদ কুমার-সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে চিকিৎসকের প্যাডে গুড়িয়ার ‘ডেথ সার্টিফিকেট’-এ লেখা হয়েছিল, বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের রামপুর
গুড়িয়া
গ্রামের বাসিন্দা, কাঞ্চন মণ্ডল নামে সেই চিকিৎসককে শনিবার রাতে আটকও করেছে পুলিশ। রবিবার হুগলি জেলা পুলিশ গুড়িয়া মৃত্যুরহস্যের তদন্তভার হাতে নেওয়ার জন্য সিআইডিকে অনুরোধ করে। ডিআইজি (সিআইডি) বিনীত গোয়েল বলেন, “তদন্তভার সিআইডি নিয়েছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের আমরা নিজেদের হেফাজতে নেব। কিছু তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। সে সব যাচাই করে দেখা হচ্ছে।”
ধৃত উদয়চাঁদ বুধবার পুলিশের কাছে দাবি করেন, চিকিৎসক কাঞ্চনবাবু তাঁর প্যাডে গুড়িয়ার ‘ডেথ সার্টিফিকেট’-এ লিখেছিলেন, ‘হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে’। গুড়িয়ার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ধরে নিয়ে তাঁরা দেহটি পুঁতে দেন। কিন্তু পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় কাঞ্চনবাবু দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই হোমে চিকিৎসা করতেন। মাসে দু’-এক বার সেখানে যেতেন। গত ১৪ জুন শেষ বার যান। কিন্তু তিনি গুড়িয়াকে চিনতেন না। ওই মহিলার মৃত্যুর ‘ডেথ সার্টিফিকেট’-ও দেননি। তাঁর প্যাড চুরি করে এবং সই জাল করে ওই কাজ করা হয়েছে বলে তিনি পুলিশের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। ‘ডেথ সার্টিফিকেট’টি ‘সিজ’ করা হয়েছে। হস্তাক্ষর বিশারদকে দিয়ে কাঞ্চনবাবুর হাতের লেখা যাচাই করা হবে। পুলিশি সূত্রের খবর, বছর আটান্নর কাঞ্চনবাবু বাঁকুড়ার সোনামুখী পুরসভার চুক্তিতে নিযুক্ত চিকিৎসক। পুলিশের দাবি, কাঞ্চনবাবু গুড়াপের হোমের পরিচালন সমিতিরও সদস্য ছিলেন। বুধবারের ঘটনার পরেই তিনি গুড়াপ ছাড়েন। দু’দিন অন্যত্র কাটিয়ে চলে যান রামপুরে। ওই চিকিৎসক দু’তিন সপ্তাহ অন্তর বাড়ি আসতেন বলে তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।
কাঞ্চনবাবুর এক ভাইপো মণিময় মণ্ডল বলেন, “কাকা নারায়ণপুরের একটি ওষুধের দোকানে বসতেন। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বাড়িতেই ছিলেন। ওই হোমের সঙ্গে উনি জড়িত কি না, আমাদের জানা নেই। কাকাও আমাদের এ ব্যাপারে কিছু জানাননি।”
এ দিকে, ওই বেসরকারি হোমের ‘কাণ্ডকারখানা’র প্রতিবাদে এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে চোখ বুজে থাকার অভিযোগ তুলে রবিবার বিকেলে গুড়াপ থানায় বিক্ষোভ দেখায় সিপিআই (এমএল) লিবারেশন। ওই ঘটনায় যারা অধরা, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। ওই হোমের সামনেও এ দিন বিক্ষোভ দেখায় লিবারেশনের ‘প্রগতিশীল মহিলা সমিতি’।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.