|
|
|
|
হাওড়ার সরোবরে ‘ঝাঁপ’ দিয়ে মৃত যুবক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ছুটির দিনে হাওড়ার বেলিলিয়াস পার্ক। সবাই নিজের মতো আনন্দে ব্যস্ত। হঠাৎ এক যুবককে লেকের জলে তলিয়ে যেতে দেখলেন নিরপত্তারক্ষীরা। হতচকিত রক্ষীরা প্রথমে তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করলেও সফল হননি। ঘণ্টাখানেক পরে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা এসে দেহ উদ্ধার করেন।
পুলিশ জানায়, মৃত যুবকের নাম শেখ অম্বর খান (২২)। বাড়ি জোড়াসাঁকো থানার জাকারিয়া স্ট্রিটে। রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ তিনি জলে ঝাঁপ দেন। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পরে হাওড়া হাসপাতাল তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। পুলিশের অনুমান, ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু রাত পর্যন্ত এর কারণ জানতে পারেনি পুলিশ। ওই যুবকের দুই সঙ্গী নাসিম খান এবং ইয়াসমিন বেগমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। |
|
তোলা হচ্ছে দেহ। —নিজস্ব চিত্র |
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন কলুটোলা এলাকার ছ’জনের একটি দল বেলিলিয়াস পার্কে বেড়াতে এসেছিল। দলে অম্বর ছাড়াও ইয়াসমিন বেগম বলে এক মহিলা এবং তাঁর দুই মেয়ে সাবেয়া, রাবেয়া ছিলেন। এ ছাড়া ছিলেন, সাবেয়ার বন্ধু নাসিম খান এবং সায়রা বেগম নামে এক মহিলা। দলটি পার্কে কিছু ক্ষণ ঘোরাঘুরির পরে নৌকায় ঘুরতে যাওয়ার তোড়জোড় করছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে পুলিশ জেনেছে, নৌকায় ওঠার আগে দলের কয়েক জন বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তার পরে অম্বর এবং সায়রা আলাদা ঘুরতে যান। বাকি পাঁচ জন নৌকায় ওঠেন। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, নৌকা ছাড়ার মিনিট কয়েক পরেই অম্বর ছুটে এসে জলে ঝাঁপ দেন।
পার্কের এক রক্ষী জানান, লেকটি প্রায় ৩০ ফুট গভীর। ওই যুবক লাফ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়েছিল। খবর দেওয়া হয়েছিল পুলিশেও। ওই লেকের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন উত্তম মণ্ডল নামে এক রক্ষী। তিনি বলেন, “ওই যুবককে লাফ দিতে দেখেই দড়ি নিয়ে উদ্ধার করতে যাই। কিন্তু পারিনি।” খবর পেয়েই ব্যাঁটরা থানা ও কলকাতা থেকে বিপর্যয় মোকাবিলার কর্মীরাও যান। হাওড়া ডিসি (সদর) নিশাদ পারভেজ বলেন, “মৃতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের পক্ষ থেকে অভিযোগ মিললে মামলা দায়ের করা হবে।”
পুলিশ জানায়, প্রথমে ইয়াসমিন ও নাসিম ওই যুবককে চেনেন না বলে দাবি করছিলেন। পরে জেরার মুখে যুবক তাঁদের পরিচিত বলে স্বীকার করেন। তবে সায়রা পলাতক। এক পুলিশকর্তা বলেন, “ইয়াসমিন এবং নাসিম ওই যুবককে চিনতে অস্বীকার করছিলেন কেন, তা জানাতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।” এতে কোনও ত্রিকোণ প্রেমের ঘটনার যোগ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
|
|
|
|
|
|