হাসপাতালে বন্দি অবস্থায় অনশনরত নাট্যকার কাকচিংতাবাম বীরহরি শর্মাকে মুক্তি দিল মণিপুর পুলিশ। মণিপুরে ইনারলাইন পারমিট চালুর দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন শর্মা। প্রকাশ্য মঞ্চে অনশন চালানোয় পুলিশ শর্মাকে গ্রেফতার করে। আদালতে জামিন নিতে অস্বীকার করেন তিনি। ফলে, ১৫ দিনের জেল হাজতের আদেশ হয় তাঁর। অনশন চালিয়ে যাওয়ায় তাঁকে জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে প্রথমে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছিল। সেই ছবি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় রাজ্য জুড়ে প্রবল বিক্ষোভ হয়। এর জেরে শিকল খুলে দেওয়া হয় তাঁর। মণিপুর মন্ত্রিসভাও ইনারলাইন পারমিট চালু করার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়ে কেন্দ্রে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। কাল বিধানসভায় এই মর্মে একটি বিলও সর্বসম্মত ভাবে পাশ হওয়ায় যৌথ সংগ্রাম কমিটি আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। গত কাল, শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয় পুলিশ। সন্ধ্যায় মুক্তি পান তিনি। সমাজকর্মী, নাট্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাঁকে সংবর্ধনা দেন।
কেসিপি নেতা মুক্ত। শান্তি আলোচনা শুরু করার স্বার্থে জামিন দেওয়া হল কেসিপি (এমসি)র নেতা লানহেইবা মেইতেইকে। গত বছর ২৮ জুন গুয়াহাটি থেকে এনআইএ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। কারাগারে থাকতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা মেইতেইয়ের সঙ্গে দেখা করেন। শান্তি আলোচনার ব্যাপারে রাজি হওয়ার পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু নিজের বাড়ি বা শিবিরে নয়, মুক্তির পরেই, পুলিশ ও আধা সেনার কনভয় তাঁকে আসাম রাইফেলসের দফতরে নিয়ে যায়। আপাতত সেখানেই রয়েছেন মেইতেই। শান্তি আলোচনার বিষয়টি নিয়ে তার সংগঠনে দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছে। সম্ভবত, বিরোধী পক্ষের প্রভাব এড়াতে ও শান্তি আলোচনা শুরু করার স্বার্থেই মেইতেইকে আসাম রাইফেলসের নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে। |