টাকার ক্রমাগত পতন ও শেয়ার বাজারের দোলাচলে আগেই শঙ্কা প্রকাশ করেছে শিল্পমহল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সুদের হার কমায়নি। উপরন্তু বিভিন্ন মূল্যায়ন সংস্থা ভারতের ঋণের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। ফলে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বিভিন্ন সংস্থার ব্যালান্স শিটে এ সবর প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছে বণিক মহল। কেন্দ্র এবং আরবিআই পরিস্থিতির মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিলে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে চাকা ঘুরতে পারে বলে তাদের আশা।
প্রথম ত্রৈমাসিকের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম ব্যাঙ্ক, গাড়ি, ওষুধ, এফমসিজি ও আবাসন শিল্পের ১৩০টি সংস্থার চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসারদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছিল। সেই সূত্রেই বণিকসভাটির দাবি, এফএমসিজি ছাড়া অন্য সমস্ত ক্ষেত্রই সুদের হার নিয়ে বেশি স্পর্শকাতর। পাশাপাশি বৈদেশিক লেনদেনের বিষয়টিও জড়িত। গত এক বছরে টাকার প্রায় ২৫% পতন ঘটেছে। ফলে ঋণ শোধের খরচ চড়চড় করে বাড়ছে। অন্য দিকে, শেয়ার বাজারও দোলাচলে। ফলে ভারতীয় সংস্থাগুলি মূলধন জোগাড় করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে। আরবিআই সুদ কমানোর পথে না-হাঁটায় সব মিলিয়ে ধারের বোঝা কমছে না সংস্থাগুলির। অ্যাসোচ্যামের আশঙ্কা, আবাসন শিল্পের ব্যালান্স-শিটের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। খরচের বোঝা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পড়তি চাহিদা তাদের সঙ্কট বাড়িয়েছে। কেন্দ্র ও আরবিআই টাকার পতন রোখার কোনও ব্যবস্থা না-নিলে সমস্যা আরও বাড়বে।
তবে এর মধ্যেই আশার আলো একেবারে যে নেই তা নয়। বণিকসভাটির দাবি, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমছে। কমছে কাঁচামালের দামও। তবে এখনই এর ফল মিলবে, এতটা আশা করছে না তারা। এই ধারা অব্যাহত থাকলে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের ফলাফলের ক্ষেত্রে তার সুফল মিলবে, মনে করছে বণিকসভাটি। |