জেলার বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটছে। স্বাভাবিক ভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। শুক্রবার রাতে নলহাটি থানার তেজহাটি গ্রামে ও শনিবার রাতে খয়রাশোলের পাঁচড়া গ্রামে দু’টি মন্দিরে চুরি হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খয়রাশোলের পাঁচড়া গ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের শতাব্দী প্রাচীন রাধারানি মন্দির থেকে অষ্টধাতূর রাধা ও কৃষ্ণ মূর্তি এবং বিগ্রহের সঙ্গে থাকা অলঙ্কার চুরি হয়েছে। রবিবার ভোরে মন্দির পরিস্কার করতে এলে বিষয়টি জানাজানি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। কিন্তু ঠিক কী কারণে এই মন্দিরে চুরি হল তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ, মন্দিরটি শতাব্দী প্রচীন হলেও অষ্টধাতূর রাধা ও কৃষ্ণ মূর্তি প্রাচীন নয়। বছর ত্রিশ আগেও একবার ওই মূর্তিগুলি চুরি যাওয়ার পর নতুন মূর্তি করানো হয়েছিল। |
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরটি বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের হলেও ওই পরিবারের অধিকাংশ সদস্য বাইরে থাকেন। ফলে মন্দিরটি কার্যত গ্রামের মানুষেরই। অন্য দিনের মতো রবিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মন্দির পরিষ্কার করতে এসেছিলেন গ্রামেরই বধূ মালা বাগদি। তখনই তিনি দেখেন মন্দিরের মূল দরজা খোলা। তাঁর কথায়, “পুরোহিত এসে গিয়েছেন ভেবে ডাকাডাকি করে সাড়া না পাওয়ায় বুঝে যাই কিছু একটা ঘটেছে। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে খবর দিই।” ওই পরিবারে সদস্যা মীনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বছর দুই আগে আমাদের কুলদেবতার মন্দিরটি সংস্কার করা হয়েছে। মন্দিরে গিয়ে দেখি এই কাণ্ড।” পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্য দিকে, নলহাটির তেজহাটি গ্রামের শতাব্দী প্রাচীন একটি গোপাল বিগ্রহ-সহ সোনার গয়না চুরিরও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে রবিবার রাত পর্যন্ত দু’টি ঘটনারই কোনও জিনিস উদ্ধার হয়নি। কেউ ধরা পড়েনি। |