অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর ‘সম্ভ্রমহানি’তে অভিযুক্ত গোপালনগরের গিরিবালা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে শনিবার সকালে গ্রেফতার করল গোপালনগর থানার পুলিশ। এ দিনই তাঁকে বনগাঁ আদালতে হাজির করানো হয়। ৫০০ টাকার বন্ডে ওই শিক্ষিকা জামিন পান বলে জানিয়েছেন মামলার সরকারি আইনজীবী সমীর দাস। অন্য দিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরেও এ দিন শিক্ষকের মারে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্র অসুস্থ হয়েছে অভিযোগে স্কুলে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
গোপালনগরের স্কুলের অভিযুক্ত শিক্ষিকা এ দিন দাবি করেছেন, “আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” আদালতে উপস্থিত সহ-শিক্ষিকাদেরও দাবি, অভিযোগ মিথ্যা। রাখি রায় এবং শ্রীলেখা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে দুই শিক্ষিকা বলেন, “ঘটনার সময়ে আমরা স্টাফরুমে ছিলাম। যে অভিযোগ করা হয়েছে, তেমন কিছু ঘটেনি। ওই ছাত্রীর অভিভাবকদের প্রভাবিত করে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। ঘটনাটি ওই শিক্ষিকা এবং ছাত্রী দু’জনেরই মনে চাপ সৃষ্টি করেছে।” শিক্ষিকাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এ দিন ওই স্কুলের ছাত্রীরা স্কুলের সামনেই ঘণ্টা খানেক বনগাঁ-চাকদহ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়।
গত বুধবার ওই ছাত্রীকে ক্লাসরুম থেকে স্টাফরুমে ডেকে নিয়ে এসে পোশাক খুলিয়ে তার সহপাঠীর ‘চুরি যাওয়া’ টাকা খোঁজার অভিযোগ ওঠে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ছাত্রীর মা গোপালনগর থানা এবং স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদকের কাছে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ মানেননি। পুলিশ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ‘সম্ভ্রম নষ্ট’ মামলা রুজু করে। বৃহস্পতিবার থেকেই স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয় ওই ছাত্রী। শিক্ষিকারা বলেন, “আমরা চাই, ওই ছাত্রী দ্রুত স্কুলে আসুক। পঠনপাঠন শুরু করুক।”
পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত পাঁচখুরির প্রহৃত ছাত্রটির নাম সজল রানা। এলাকার মানুষ স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের বক্তব্য, ‘অন্যায় ভাবে’ সজলকে ছড়ি দিয়ে মারা হয়েছে। প্রহৃত ছাত্রের পরিবার জানিয়েছে, শুক্রবার অঙ্কের শিক্ষক ক্লাস নেওয়ার সময়ে সজল নামতা বলতে না পারায় ওই শিক্ষক তাকে ছড়ি দিয়ে মারেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়ে সজল। তাকে পাঁচখুরি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করতে হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘটনার জন্য ছাত্রে পরিবারের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন।
|
দুর্নীতির অভিযোগ সিপিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শুধু কর্মদিবস বাড়ানোর ‘কৃতিত্ব’ জাহির করতে গিয়ে প্রকৃত মানুষের হাতে প্রকল্পের টাকা পৌঁছচ্ছে কি না, তা দেখছে না সরকার। তার জন্যই ‘বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। সূর্যবাবুর বক্তব্য, “সরকারে থাকার সময়েও বলতাম, মন্ত্রী দুর্নীতি করলে তাঁকে সরানো যায়। অফিসার দুর্নীতিগ্রস্ত হলে তাঁকে সরানো যায়। কিন্তু মানুষকে সুবিধাবাদী করে দিলে ঠেকানো মুশকিল!” তাঁর অভিযোগ, ১০০ দিনের প্রকল্পে যত কাজ দেওয়া ও টাকা খরচ করা হয়েছে বলে রাজ্যে সরকার দাবি করছে, কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত মাস্টার রোলের সঙ্গে তা মিলছে না। হিসাবে গরমিল থাকছে। বারবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও লাভ হচ্ছে না। সূর্যবাবুর মতে, মানুষ যদি বুঝে যান, কাজ করুন বা না করুন, কিছু টাকা চলে আসবে, তা হলে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়। |