‘নির্যাতন’ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট জমা বিশ্বভারতীতে
পাঠভবনের ছাত্রীকে ‘নির্যাতন’-এর ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিল বিশ্বভারতীর তদন্ত কমিটি।
বিশ্বভারতীর একটি সূত্রের দাবি, প্রাথমিক রিপোর্টে অভিযুক্ত ওয়ার্ডেন উমা পোদ্দারকে যেমন কার্যত ‘ক্লিনচিট’ দেওয়া হয়েছিল, এ বার তেমনটা না ঘটারই সম্ভাবনা বেশি। এ দিকে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ছাত্রীটির নাম প্রকাশ করে দেওয়ায় জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন (এনসিপিসিআর) ক্ষুব্ধ। ঠিক এক সপ্তাহ আগে, ৭ জুলাই করবী ছাত্রী-নিবাসে বিছানা ভিজিয়ে ফেলার অভিযোগে ওয়ার্ডেন উমাদেবী পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ভেজা বিছানা চাটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তের পরে তা কার্যত অস্বীকার করেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। শনিবার চার সদস্যের তদন্ত কমিটি উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের কাছে তিন পাতার যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তাতে কিন্তু ঘটনার ‘সত্যতা’ স্বীকার করা হয়ে থাকতে পারে বলে পাঠভবন সূত্রের খবর।
ছাত্রী নিবাস থেকে মেয়ের জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছেন ‘নির্যাতিতার’ বাবা মা। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
বিশ্বভারতীর একটি সূত্রের দাবি, মুখরক্ষার খাতিরে প্রথমে ওয়ার্ডেনকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু দেশ জুড়ে সমালোচনা এবং আচার্য তথা প্রধামন্ত্রী মনমোহন সিংহের বিরক্তি প্রকাশের পরে তাতে দাঁড়ি টানা হয়েছে। যদিও তদন্ত কমিটির চেয়ারপার্সন অরুণা মুখোপাধ্যায় ও আহ্বায়ক সুরজিৎ সেন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
এ দিনই বোলপুর থানার পুলিশ ফের ওই ছাত্রী-নিবাসে তদন্তে যায়। ছাত্রীটির বিছানা ও চাদর তারা নিয়ে গিয়েছে। দুপুরে মেয়ের জামাকাপড়, বই-খাতা নিয়ে গিয়েছেন ছাত্রীটির বাবা-মাও। মেয়েকে আর পাঠভবনে পড়াতে চান না বলে তাঁরা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। ফেরার সময়ে ছাত্রীর বাবা বলেন, “জিনিসগুলি নিয়ে যাওয়ার জন্য পাঠভবনের অধ্যক্ষার কাছে আবেদন করেছিলাম। তিনি অনুমতি দিয়েছেন। মেয়েকে যে আর এখানে পড়াব না, সেই সিদ্ধান্ত আমরা আগেই নিয়েছি।”
ঘটনার পরেই কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট পাঠিয়েছিল বিশ্বভারতী। তাতে দাবি করা হয়, মেয়ের বিছানা ভেজানোর ‘দাওয়াই’ হিসেবে প্রস্রাব চাটানোর অনুমতি ছাত্রীর মা-ই ওয়ার্ডেনকে দিয়েছিলেন। যদিও ওয়ার্ডেন তা করেননি বলে জানিয়েছেন। ছাত্রীর বাবা-মা অবশ্য সে দাবি উড়িয়ে দেন। বিশ্বভারতীর এক আধিকারিকের ব্যাখ্যা, “এর আগে কেন্দ্রে যে রিপোর্ট পাঠানো হয়, তা তদন্তভিত্তিক ছিল না। প্রাথমিক ভাবে হস্টেলের কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জানানো হয়। অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি হয়েছে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই। তাতে ছাত্রীর বয়ানকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে।”
গত ১২ জুলাই বিশ্বভারতীর কর্মসচিব মণিমুকুট মিত্রের স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীর নাম প্রকাশ করা হয়েছিল। এ দিন এনসিপিসিআর প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, এতে ‘জুভেনাইল জাস্টিস (কেয়ার অ্যান্ড প্রোটেকশন)’ আইন অমান্য করা হয়েছে। কর্মসচিব অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি।

পেয়ারা পাড়তে উঠে গাছ থেকে পিছলে ছাদের কার্নিসে মাথায় চোট পেয়ে এক বালকের মৃত্যু হল। বীরভূমের নলহাটি থানার বুজুঙ গ্রামে শুক্রবার বিকেলের ঘটনা। মৃত রামকৃষ্ণ পালের (১২) বাড়ি ওই গ্রামে। রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে শনিবার তার মৃত্যু হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.